জার্মানিতে পাকিস্তানের কনস্যুলেটে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতী। ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে অবস্থিত এই পাক দূতাবাসকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি পাকিস্তানের পতাকা খুলে নিল দুষ্কৃতীরা। জানা যাচ্ছে, রবিবার এই হামলায় জড়িতরা আফগানিস্তানের নাগরিক। এমন হামলার তীব্র নিন্দা করেছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে জার্মান সরকারেরও সমালোচনা করেছে। ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধু’ দেশ পাকিস্তানে কাজ করতেও সেই বুলেটপ্রুফ গাড়িই ভরসা চিনা শ্রমিকদের
রবিবারের এই হামলার বেশ কিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জার্মানিতে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের কাঁধে রয়েছে আফগানিস্তানের পতাকা। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজন পাকিস্তানের দূতাবাসে ঢুকে পড়ে এবং সেখান থেকে পাকিস্তানের পতাকা খুলে এনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়াও তারা দূতাবাস লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে। তবে ঘটনায় সময় সেখানে পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি।
এই ঘটনার পরে জার্মানির তীব্র নিন্দা করেছে পাকিস্তান। পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘জার্মান সরকার পাক দূতাবাসের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আমরা জার্মান সরকারকে অবিলম্বে এই ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং বিচারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি। একই সঙ্গে নিরাপত্তার গাফিলতির জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ যদিও পাকিস্তানের তরফে এই হামলার ঘটনায় কোনও নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তারা এই হামলাকারীদের চরমপন্থী বলে দাবি করছেন। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনা জার্মান সরকার অথবা আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় এর আগেও দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিবাদ সামনে এসেছে। ২০১৯ সালে শারজা এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিল পাকিস্তান। তখন দুই দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে গত বছর থেকে। পাকিস্তান আফগান নাগরিকদের বহিষ্কার করার জন্য অভিযান শুরু করেছিল। তারপর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক অবনতি হতে থাকে।