অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হলেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক চিকিৎসক। শনিবার লাহোরের কাছে আততায়ীরা ক্লিনিকে ঢুকে ওই চিকিৎসককে গুলি খুন করে। জানা যাচ্ছে, মৃত ব্যক্তি একজন দন্ত চিকিৎসক বা দাঁতের ডাক্তার ছিলেন। মৃতের নাম ডাঃ জাকাউর রহমান (৫৩)। কী কারণে চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয় পুলিশ ও পরিবারের কাছে।
আরও পড়ুন: পরপর চলল ৩০ রাউন্ড গুলি, বার্গার কিংয়ে শুটআউটের হাড়হিম করা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে
পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা মোটর বাইকে চড়ে আসে পঞ্জাবের গুজরাট জেলার লালা মুসা এলাকায় চিকিৎসকের ক্লিনিকে। এরপর এক ব্যক্তি ক্লিনিকের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসককে লক্ষ্য করে পরপর কয়েকটি গুলি চালায়। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে চিকিৎসকের ওপরে ৩ টি গুলি চালানো হয়। তার হৃদপিন্ড, পেট ও বাহুতে গুলি লাগে। এরফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক সেখানে একাই থাকতেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, রেহমান একা থাকতেন। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যরা থাকতেন বিদেশে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে এভাবে সখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তানে এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ধর্মকে অবমাননার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একজন অভিযুক্ত মুবারক সানীকে জামিন দিয়েছিল। তার পরেই এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে দেশে। এদিনের ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন মর্মাহত হয়েছেন। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
চিকিৎসকে এভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। এই হত্যাকে তাদের বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর এবং তীব্র ঘৃণামূলক প্রচারের অংশ বলে অভিহিত করেছেন। তারা এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। সম্প্রদায়ের মুখপাত্র আমির মেহমুদ জোর দিয়েছেন, যে ডাক্তারকে নিছক টার্গেট করা হয়েছিল কারণ তিনি ভিন্ন সম্প্রদায়ের ছিলেন। তিনি জানান, এর আগে গুলাম সারওয়ার এবং রাহাত আহমেদ বাজওয়া নামে দুই আহমদিয়াকে পাঞ্জাবের মান্ডি বাহাউদ্দিন এবং হাসিলপুরে হত্যা করা হয়েছিল। চলতি মার্চে মুলতানে স্থানীয় আহমদিয়া নেতা তাহির ইকবাল চিমাকে হত্যা করা হয়।