ঘর ভাড়া নিয়েছেন আট বছর আগে। কিন্তু, কোনওদিন ঘরের ভাড়া দেননি। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সম্প্রতি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নদিয়ার করিমপুর থানা এলাকার এক বাসিন্দা। পালটা ওই ব্যক্তি কুৎসা এবং অপপ্রচার করছেন দাবি করে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘মোদীর BFF আদানি’র বিরুদ্ধে তদন্তে ভারতের সাহায্য চায় US, ‘মজা পেলেন’ মহুয়া
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ব্যক্তির নাম অধীর পাল। তিনি নিজেকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করেছেন। তিনি করিমপুর কলেজ রোডের বাসিন্দা। মহুয়ার বিরুদ্ধে ঘর ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের রাজ্য সভাপতি নেতা সুব্রত বক্সিকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। অধীর পালের দাবি, ২০১৬ সালে তাঁর বাস্তুবাড়ির ৫০০ বর্গফুটের ঘর সাংসদকে ভাড়া দিয়েছিলেন। সেটি মহুয়া নিজের অফিস হিসেবে ব্যবহার করেন। এর জন্য ২০১৬ সালের অগস্টে ঘরভাড়া সংক্রান্ত চুক্তিপত্র হয় আইন মেনেই। কিন্তু, তারপর থেকে কোনওদিন ঘর ভাড়া দেননি মহুয়া। অধীর পালের আরও অভিযোগ, ঘর ভাড়া চাইতে গেলেই তিনি হুমকি পেয়েছেন। এমনকী তাঁর জমি জবরদখল করে নেওয়া হবে বলেও নাকি তৃণমূল সাংসদ তাঁকে হুমকি দিয়েছেন।
এদিকে, অধীর পালের বিরুদ্ধে ইমেল মারফত মহুয়া মৈত্রের অভিযোগ পেয়েই তদন্ত নেমে পড়ে পুলিশ। অধীরকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তিপত্র চেয়ে পাঠানো হয়। তবে তিনি নথিপত্র পেশ করতে পারেননি। এরজন্য তাঁকে পুলিশের তরফের সময় দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কোতোয়ালি থানার তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই বাড়িটি অধীর পালের নয়। তিনি সেই বাড়িটি ২০১৬ সালেই বিক্রি করে দিয়েছিলেন অনুপ কুমার বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী মিতা মণ্ডল বিশ্বাসকে। তাঁর সঙ্গেই সাংসদের বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে এবং তিনি ভাড়াও পেয়েছেন। অনুপ কুমার চুক্তির কথা স্বীকার করেছেন এবং ২০০০ টাকা করে ভাড়া পাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন। তবে জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে এখনও অধীরের অংশ রয়েছে।
অধীর পালের দাবি, তিনি তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন তিনি চাইছেন, সাংসদ ঘর ভাড়া দিয়ে ঘর ছেড়ে দিক। এবিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, প্রশাসনের উচিত বিষয়টি খতিয়ে গিয়ে দেখে সুষ্ঠুভাবে মীমাংসা করা।