অস্ত্রপোচারের পর চিকিৎসকদের ভুলে মহিলার শরীরের ভিতরেই থেকে যায় একটি স্পঞ্জ। যার ফলে মৃত্যু হল ওই মহিলার।একটি বেসরকারি হাসপাতালে জরায়ু অপসারণের অস্ত্রপোচারের সময় চিকিৎসকের গাফিলতির জেরেই এমনটা ঘটেছে বলে দাবি মহিলার পরিবারের। শুধু তাই নয়, সমস্যা বাড়লে ওই মহিলার পরিবারকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করতে থাকেন চিকিৎসকরা। বেশ কয়েক মাস চিকিৎসা চলার পর অবশেষে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের পিলভিটে। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মহিলার পরিবার।
আরও পড়ুন: গলায় অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মৃত্যু ১৯ বছরের বধূর, নার্সিংহোমে বিক্ষোভ পরিজনদের
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম খিলাবতী।তিনি মিশ্রাইন গোটিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় কৃষক তার স্বামী উমা শঙ্কর তাকে জরায়ুতে রক্তক্ষরণের কারণে গত ৭ জুলাই পিলিভিটের দেবীপুরা গ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই দিনই তার জরায়ু অপসারণ করা হয়েছিল। তবে অস্ত্রপোচারের পর ওই মহিলার জরায়ুতে সংক্রমণ হয়। তারপরেও কোনও সমস্যা হবে না বলে হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে দেখা যায় মহিলার সমস্যা বাড়তেই থাকে। তখন পরিবারের সদস্যরা মহিলাকে ফের ওই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ৩ মাস ধরে ওই মহিলার চিকিৎসা চালিয়েও সমস্যা মেটেনি। এরপর ওই মহিলাকে একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসকরা ওই মহিলার পেটের সিটি স্ক্যান করলে দেখতে পান যে অস্ত্রপোচারের সময় মহিলার পেটে যে স্পঞ্জ রাখা হয়েছিল সেটি বের করা হয়নি, পেটেই রয়ে গিয়েছে। তারফলে এই সমস্যা হচ্ছে । যার জেরে ওই মহিলার সংক্রমণ হয়েছে।
বিষয়টি জানতে পেরেই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে মহিলার পরিবার। পরে মহিলাকে বেরেলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন ৫ ডিসেম্বর রোগীর মৃত্যু হয়।পরিবারের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক গাফিলতি করে অস্ত্রপোচারের সময় ভিতরে স্পঞ্জ রেখে দিয়েছিলেন। যার ফলে সমস্যা তৈরি হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের কাছে পুরো বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই ঘটনার পরেই পরিবারের সদস্যরা পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে জেলা শাসক পিলিভিটের চিফ মেডিক্যাল অফিসারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শাসক।