প্রতিবেশী এক ভাসুর ক্রমাগত কুপ্রস্তাব দিত। তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে সম্মত না হওয়াতেই নাতি বিধবা এক মহিলা মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। পাশাপাশি মহিলার চুল কেটে দিয়ে তাঁকে শাঁখা-সিঁদুর পরিয়ে নির্যাতন করা হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে ভাসুর সহ আরও ককজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও ভাসুর দাবি করেছে যে এরকম কোনও ঘটনায় সে ঘটায়নি। এদিকে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবেশী দেওরের সঙ্গে সেই মহিলার সম্পর্ক রয়েছে। অভিযুক্ত ভাসুর গ্রামবাসীদের সেরম বোঝায়। ২৮ জুলাই মহিলার বাড়িতে দেওর গেলে ভাসুর গ্রামবাসীকে ডেকে নিয়ে আসে। এর পর উত্তেজিত জনতা জোর করে ওই যুবকের হাত দিয়ে গৃহবধূর কপালে সিঁদুর পরিয়ে এলাকা ছাড়া করে তাঁদের দু'জনকে। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা মহিলা।
৩ বছর আগে স্বামী মারা যান ডাবু গ্রামের ওই গৃহবধূর। তাঁর দু'টি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর অসহায় অবস্থায় দিন কাটছিল তাঁর। নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ, সেই সুযোগে তাঁর ভাসুর তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় তাঁকে পরিকল্পনা করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চক্রান্ত করতে থাকে ভাসুর ও তাঁর অনুগামীরা।
গত বুধবার দেওর গৃহবধূর বাড়িতে আসেন। তখন ভাসুর প্রতিবেশীদের নিয়ে চড়াও হয় গৃহবধূর উপর। দু'জনের নামে মিথ্যে বদনাম দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ভাসুর-সহ 8 জনের নামে বৃহস্পতিবার ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই গৃহবধূর স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ওই প্রতিবেশী যুবক বিভিন্ন ভাবে গৃহবধূকে সাহায্য করতেন। এটা ভালো চোখে নেয়নি প্রত্যাখ্যাত ভাসুর ও গ্রামের মানুষজন। নানা ভাবে দু'জনকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করতে থাকে ভাসুর। বুধবার বিকেলে দু'জনকে একসঙ্গে দেখতে পেয়ে তাঁদের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে হেনস্থা করা হয়। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা মহিলা ক্যানিং স্টেশনে রাত কাটাচ্ছেন। যদিও অভিযুক্ত ভাসুর ও তার অনুগামীদের দাবি, স্বামী মারা যাওয়ার পর ওদের দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দু'বার পঞ্চায়েতে এ নিয়ে বিচারও হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি ছেলেটির সংসার আছে। এই মহিলার জন্য তাঁর সংসার ভেঙে যেতে পারে।