কানাডার ব্র্যাম্পটনে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় এক খলিস্তানি 'জঙ্গি'-কে গ্রেফতার করা হল। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। অথচ তারপরও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) কানাডার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় খলিস্তানি 'জঙ্গি'-কে। পরে একদিন ব্র্যাম্পটনে 'অন্টারিও কোর্ট অফ জাস্টিস'-এ হাজিরা দেওয়ার শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর তারপরই প্রশ্নের মুখে পড়েছে কানাডার পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করেনি ভারত। গ্রেফতারির পরেই খলিস্তানি 'জঙ্গি'-কে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা নিয়ে কানাডার পুলিশ বা কানাডার সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এমনিতে গত ৩ নভেম্বর (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) ব্র্যাম্পটনের হিন্দু মন্দিরে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার নিন্দা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন ব্র্যাম্পটনের হিন্দুসভা মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং ভারতীয় কনস্যুলেটের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেইসময় হামলা চালায় একদল লোক। তাদের হাতে খলিস্তানি পতাকা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিয়োয় দেখা যায় যে খলিস্তানি পতাকা দিয়ে লোকজনকে মারধর করা হচ্ছে।
হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার নিন্দায় মোদী
সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'কানাডার একটি হিন্দু মন্দিরে যে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো হয়েছে, সেটার তীব্র নিন্দা করছি আমি। আমাদের কূটনীতিবিদের ভয় দেখানোর জন্য যে কাপুরুষোচিত চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটাও ভয়ংকর। এরকম হিংসাত্মক ঘটনা কখনওই ভারতের সংকল্পকে দুর্বল করতে পারবে না। আমরা আশা করব যে ন্যায়বিচার যাতে পাওয়া যায়, সেটা নিশ্চিত করবে কানাডার সরকার। আর আইনের শাসন বজায় রাখবে।'
প্রবল কড়া সুরে কানাডাকে আক্রমণ জয়শংকরের
আরও কড়া ভাষায় কানাডাকে আক্রমণ শানান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্ক যেখানে তলানিতে ঠেকেছে, সেই আবহে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার পরে উত্তর আমেরিকার দেশের প্রশাসনকে আক্রমণ শানিয়ে জয়শংকর বলেন, 'কানাডার হিন্দু মন্দিরে যা হল, তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।'
রাজনৈতিক জায়গা দেওয়া হচ্ছে খলিস্তানিদের, দাবি জয়শংকরের
ভারতের বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, '(কানাডা নিয়ে) আমি তিনটি বিষয় বলি। প্রথমত, নির্দিষ্ট কোনও তথ্য ছাড়াই অভিযোগ করার রোগে ভুগছে কানাডা। দ্বিতীয়ত, আমাদের কূটনীতিবিদদের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে কানাডা, যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায়।' সেইসঙ্গে ব্র্যাম্পটনের মন্দিরের হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন যে হামলার ভিডিয়ো দেখলেই বোঝা যাবে যে কানাডায় উগ্রপন্থী লোকজনদের রাজনৈতিক জায়গা দেওয়া হচ্ছে।