ত্রিপুরায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের উপর হামলা ও সংগঠনের একজন নেত্রীকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে এবিভিপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কয়েকজন এবিভিপির সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ। মামলাও রুজু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার গ্রেফতারির কোনও খবর নেই। সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত নামে এক টিএমসিপি নেত্রী জানিয়েছেন, আগরতলায় মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে তাঁকে অন্য়ায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল। শনিবার টিএমসিপির প্রতিষ্ঠা দিবস। তিনি সেই প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। কয়েকজন এবিভিপি সমর্থক তাকে জুতো দিয়ে পিটিয়েছে বলে অভিযোগ।
পূর্ব আগরতলা পুলিশ স্টেশনের ওসি পারমিতা সাহা বলেন,' তিনচারজন এবিভিপি সমর্থক ওই নেত্রীকে কমন রুমে আটকে রেখেছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।' এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, আটকে রাখা, মারধর, সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে বাংলার দুই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ও ডাঃ শান্তনু সেন এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। শান্তনু সেন বলেন, 'আমাদের যুব নেতাদের পুলিশের সামনে মারধর করা হয়েছে। বিজেপি যত মারবে ততই আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হবে।' এদিকে এবিভিপির সম্পাদক প্রীতম পাল বলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস গোটা ঘটনাটাকে সাজিয়েছে। আমাদের আশা ত্রিপুরার মানুষ বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা তৃণমূলের আসল চেহারাটা বুঝতে পারবেন।'