খাতায় কলমে নার্সিং কলেজ। সেখান থেকে নার্সের ডিগ্রিও দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে সেই নার্সিং কলেজের কোনও অস্তিত্বই নেই। কোথাও আবার বিল্ডিং থাকলেও তাতে নার্সিং প্রশিক্ষণের কোনও ব্যবস্থা নেই। মধ্যপ্রদেশের ৬টি জেলায় হিন্দুস্তান টাইমসের অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। অন্তত ১৬টি নার্সিং কলেজের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাস্তবে তাদের কোনও অস্তিত্ব নেই। সবটাই ভুতুড়ে।
এই যেমন মধ্যপ্রদেশের মোরেনাতে ডিডি স্বামী নার্সিং কলেজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে খাতায় কলমে ৬০টি আসনে জেনারেল নার্সিং বিভাগে পড়াশোনা হয়। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে দেখা গেল একটা পরিত্যক্ত বিল্ডিং। ফিমেল ওয়ার্ডে খালি আলমারিতে ধুলো পড়ছে। মেল ওয়ার্ডে ধুলোয় ঢাকা বেড পড়ে রয়েছে।
এদিকে Law Students Associationয়ের সভাপতি বিশাল বাঘেল গত ১১ জানুয়ারি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন ২০২০-২১ সালে তৈরি অন্তত ৫৫টি নার্সিং কলেজ অবৈধভাবে চলছে। এরপর ১৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি রবি মালিমাঠ ও বিচারপতি পুরুষৈন্দ্র কুমার কৌরব মধ্যপ্রদেশের নার্সেস রেজিস্ট্রেশন কাউন্সিলকে ওই নার্সিং কলেজ সম্পর্কিত নথিপত্র চান।
তবে এর আগেও ২০২১ সালে হরিরাম সাহু নামে এক সমাজকর্মী গোয়ালিয়র আদালতে পিটিশন দিয়ে জানিয়েছিলেন যে ৬৩টি নার্সিং কলেজ বেআইনীভাবে চলছে। এদিকে ১৭ মার্চ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ সদস্যের কমিটি গোয়ালিয়র ও চম্বল এলাকায় অন্তত ২০০টি নার্সিং কলেজ পরিদর্শন করেছে।এরপর তারা আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ৭০টি কলেজের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়। মেডিক্যাল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের মন্ত্রী বিশ্বাস সারং হিন্দুস্তান টাইমসকে এমনটাই জানিয়েছেন।