প্রদীপ কুমার মিত্র
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ব্যক্তিগত সহকারি বলে পরিচয় দিতেন এক যুবক। আর সেই পরিচয় দিয়ে তিনি একেবারে বিধায়কদের মন্ত্রীত্ব পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখাতেন। মূলত শিন্ডে-ফড়নবিশ মন্ত্রিসভায় পদ দেওয়ার প্রলোভন দেখাতেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম নীরজ সিং রাঠোর। তিনি আমেদাবাদের বাসিন্দা। তিনি একাধিক বিধায়ক যেমন বিকাশ কুম্ভারে, টেকচাঁদ সাভারকর সহ কয়েকজনকে ফোন করেছিলেন। মন্ত্রীত্ব দেওয়ার নাম করে তিনি লাখ টাকা করে চান।
নাগপুরের এমএলএ বিকাশ কুম্ভারের ফোনে কথা বলে সন্দেহ হয়েছিল। এরপর তিনি স্থানীয় কোতোয়ালি থানায় এনিয়ে নালিশ করেন। এদিকে রাঠোর একাধিকবার ওই বিধায়ককে ফোন করে জানিয়েছিলেন তাকে নগর উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী করে দেওয়া হবে। এদিকে একজন আবার নাড্ডা সেজে এই প্রতারণা চক্রে যুক্ত হয়েছিলেন।
বিধায়ক জানিয়েছেন, গত রবিবার আমার কাছে প্রথম ফোন আসে। তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পোস্ট অফার করেছিলেন। তার দিন দুয়েক বাদে আবার ফোন। এবার বলা হয়েছিল নগর উন্নয়ন দফতর দিতে চাইছেন না নাড্ডা। এবার তিনি আবগারি দফতর দেবেন। এমনকী কর্ণাটকে বিজেপির সরকার তৈরিতে টাকা দিয়ে সহায়তা করবেন কি না সেটাও বলা হয়েছিল।
এদিকে ওই বিধায়ক বৃহস্পতিবার অপর একটি ফোন পান। সেখানে ফোনের ওপার থেকে বলা হয় আমি জেপি নাড্ডা। তখন ফোনের ওপার থাকা সেই ভুয়ো নাড্ডা বলেন, আমেদাবাদে আরএসএসের প্রোগ্রাম হবে তার খাবারের ব্যবস্থা করে দিন। এরপরই এক ক্যাটারার ফোন করে বলেন একটি লিঙ্ক পাঠানো হচ্ছে। ১.৬৭ লাখ টাকা তাকে মেটাতে হবে। এরপরই তিনি বুঝতে পারেন কিছু একটা ভুল হচ্ছে। এরপরই তিনি পুলিশকে ব্যাপারটা জানান।
টেকচাঁদ সাভারকার বলেন, আমাদের দলে টাকা নিয়ে মন্ত্রী পাওয়ার কোনও সিস্টেম নেই। সেকারণে ফোনটি নিয়ে সন্দেহ ছিল। এমনকী ওই প্রতারক গোয়া ও নাগাল্যান্ডেও মন্ত্রী করে দেওয়ার কথা জানিয়ে মোটা টাকা চেয়েছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে রাঠোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা দেখা হচ্ছে। গুজরাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।