দিল্লিগামী হামসফর ক্লোন এক্সপ্রেসে এক গ্রুপ ডি কর্মচারীকে যাত্রীরা বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ। প্রচন্ড মারের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বুধবার ভোরবেলা লখনউ ও কানপুরের মধ্য়ে এই ঘটনা হয় বলে খবর। মৃত যুবকের নাম প্রশান্ত কুমার। তার বিরুদ্ধে যাত্রীরা অভিযোগ করেছিলেন যে ওই রেলকর্মী ১১ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ট্রেনের মধ্য়েই শ্লীলতাহানির করেছিল বলে অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর তার দেহ নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। জিআরপির কানপুর সেন্ট্রাল সূত্রে খবর, প্রশান্তর বয়স ৩০এর কোঠায়। তিনি বেগুসরাই রেল স্টেশনে পোস্টিং ছিলেন। বারাউনি-দিল্লি হামসফর ক্লোন এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন তিনি। মজফরপুর স্টেশন থেকে তিনি উঠেছিলেন। একটা জেনারেল টিকিট তিনি কেটেছিলেন।
এরপর চেকার তাকে ফাইন করেন। কারণ তিনি সংরক্ষিত কামরায় উঠেছিলেন। এরপর তাকে সাইড লোয়ার বার্থ দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় আড়াইটে নাগাদ বুধবার এক কিশোরী পরিবারের অন্যান্যদের কাছে অভিযোগ করেন যে প্রশান্ত তার শরীরে স্পর্শ করেছিল। এরপরই ওই কিশোরীর মা তাকে বকাঝকা করতে শুরু করেন। সেই সময় কিশোরীর বাবা ও অন্যান্য যাত্রীরা তাকে মারধর করা শুরু করেন।
কানপুর সেন্ট্রাল স্টেশনে ট্রেনটি এলে তাকে জিআরপির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ওই কিশোরীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
প্রশান্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করা হয়। এদিকে এফআইআর করার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তার বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। এদিকে প্রশান্তের পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, প্রশান্তের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত হতাশাগ্রস্ত ছিলেন প্রশান্ত। যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার তবে এফআইআর দায়ের করা হবে।
এদিকে সূত্রের খবর, হামসফর এক্সপ্রেসে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ট্রেনের ভেতর কী হয়েছে তা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ার কথা।
সেই ফুটেজ দেখলেই গোটা ঘটনা সম্পর্কে একটা ধারনা করা যাবে। তবে এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ গোটা ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানানো যেত। কিন্তু সেটা না করে প্রচন্ড মারধর করা হয়। যার জেরে মৃত্যু হল ওই রেলকর্মীর।