ঝাড়খণ্ডে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। ঝাড়খণ্ডে মিঠুনের জনপ্রিয়তা কম কিছু নয়। সভায় ভিড়ও ভালোই হয়েছিল। কিন্তু আচমকাই বিপত্তি। কিছু যেন খোয়া গিয়েছে। পরে জানা গেল, একেবারে চুরি গিয়েছে খোদ মিঠুন চক্রবর্তীর মানিব্যাগ।
সোমবার ধানবাদের নিরসাতে সভা ছিল মিঠুনের। চারদিকে একেবারে গেরুয়া পরিহিত নেতা কর্মীরা থিকথিক করছে। আচমকাই মাইকে ঘোষণা হতে থাকে, যো ভি মিঠুনদা কা মানিব্যাগ লিয়া হ্যায়, ওহ আকে লওটা দিজিয়ে। এমনকী এই ব্যাগ চুরি করাটা যে সংস্কৃতি নয় সেটাও মঞ্চ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বার বার মঞ্চ থেকে ঘোষণা করতে থাকেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিকে ভিনরাজ্যে গিয়ে এভাবে মানিব্যাগ চুরির জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। সবথেকে অস্বস্তিতে পড়়েছে ঝাড়খণ্ড বিজেপি। কারণ তাঁদের ডাকেই ধানবাদে সভা করতে গিয়েছিলেন মিঠুন। আর সেখানেই চুরি গেল মানিব্যাগ। এমনকী মঞ্চ থেকে বার বার বলা হয়েছে ওই মানিব্যাগে জরুরী কাগজপত্র রয়েছে। সেকারণে সেই ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বার বার বলা হয়।
এদিকে বিজেপির মঞ্চেই ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে মূলত অন্যান্য নেতারা ছিলেন। সেখানে সাধারণ কর্মীদের আসার সুযোগ সেভাবে নেই। তাছাড়া সেই মঞ্চে একেবারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল। মঞ্চের সামনে প্রচুর ভিড়। মঞ্চেও নেতাদের ভিড় কম কিছু নয়। কিন্তু তার মধ্য়ে কে যে হাত সাফাই করল সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মঞ্চের মধ্য়ে চোর উঠল অথচ কেউ জানতে পারল না সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে এভাবে দলের মঞ্চ থেকেই মানিব্যাগ চুরির ঘটনার জেরে অস্বস্তি একেবারে চরমে উঠছে। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ব্যাগ খোঁজার জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। নেতারাও বিভিন্ন জায়গায় ব্যাগ খোঁজাখুঁজি করছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে কি না সেটা জানা যায়নি।
এখানে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
প্রথমত মঞ্চে একেবারে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখান থেকে মানি ব্যাগটি কে নিল?
মানি ব্যাগ কি কোথাও পড়ে গিয়েছে? নাকি সেটা চুরি গিয়েছে? সেটা নিয়েও কিছুটা ধন্দ রয়েছে।
এদিকে মানিব্যাগ চুরির কথা জানাজানি হতেই কোনও ঝুঁকি নেননি নেতৃত্ব। বার বার মাইকে ঘোষণা করা হয়। যদি কেউ সেই মানিব্যাগ নিয়ে থাকে তবে যাতে দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় সেই অনুরোধও করা হয়েছে।