শুল্ক দফতরের অভিজ্ঞ আধিকারিকরা শেষ কবে এমন কৌশলে পাচার করা দেখেছেন তা তাঁরা নিজেরাও মনে করতে পারছে না। গুটখার প্যাকেটে ডলার পাচারের চেষ্টা। কলকাতা বিমানবন্দরে সেই পাচারের চেষ্টা রুখে দিল শুল্ক দফতর। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যাঙ্ককগামী বিমানে এক ভারতীয় যাত্রী বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তার ব্য়াগে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার পেয়েছে শুল্ক দফতর। আর সেটা আবার গুটখার সিল করা প্যাকেটের মধ্যে ভরা ছিল। সেই প্যাকেট ছিঁড়তেই বেরিয়ে এল একের পর এক নোট।
এদিকে ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্ক প্রায় ৩২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। সেই বিপুল পরিমাণ ডলার গুটখার প্যাকেটে লুকিয়ে ফেলা হয়েছিল। এদিকে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
পাচারের নানা অভিনব পন্থা মাঝেমধ্যেই সামনে আসে। অনেকেই ব্যাগের মধ্যে গোপন কুঠুরিতে নানা ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্য পাচার করেন। তবে কখনও সিআইএসএফ, কখনও আবার শুল্ক দফতরের নজরদারিতে ধরা পড়ে যায় এই কীর্তি। তবে এবার যে পদ্ধতিতে ডলার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিঃসন্দেহে অবাক করেছে অনেককেই।
বাইরে থেকে দেখে বোঝার একেবারেই উপায় নেই। আপাতভাবে মনে হতে পারে গুটখা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ব্যাঙ্ককে। ব্যাবসার কারণ এই ধরনের সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও মনে করা হতে পারে। একটা নয়, একেবারে গুটখার প্যাকেটের চেইন। কিন্তু দুঁদে গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে বেরিয়ে যেতে পারেনি অভিযুক্ত যাত্রী। সেই প্যাকেট ছিঁড়তেই বেরিয়ে আসে একের পর এক ডলার। সেগুলিকে অত্যন্ত সুরক্ষিতভাবে প্যাকেটের মধ্যে ঢুকিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এমনকী ডলারগুলি যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেকারণে তার উপরেও একটি প্যাকেটের কভার দেওয়া ছিল। তারপর সেগুলি প্যাকেটের মধ্যে ভরা হয়েছিল।
আর প্যাকেট খুলতেই পাচারের পর্দাফাঁস। কিন্তু কেন এই বিপুল পরিমাণ ডলার বিদেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সবটাই খতিয়ে দেখছে শুল্ক দফতর। বেসরকারি বিমান সংস্থার SG83 বিমানে চাপার জন্য বিমানবন্দরে এসেছিলেন ওই যাত্রী। কিন্তু তার ব্যাগকে ঘিরে সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপরই তল্লাশি শুরু হয়। আর তারপরই সামনে এল উদ্বেগের ঘটনা। বিরাট পাচারের পর্দাফাঁস।