দিল্লিতে গ্রেফতার ৮জন। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তাদের এবার বাংলা যোগ। তাদের কাছে যে নথি মিলেছে তাতে লেখা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। সূত্রের খবর এমনটাই।
এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ওই বাংলাদেশিরা জঙ্গলের রাস্তা ধরে, কিছুটা ট্রেনে চেপে বাংলার সীমান্ত দিয়ে ভারতে এসেছিলেন। এরপর জাল নথি দিয়ে বানিয়ে ফেলেছিল ভারতীয় পরিচয়পত্র। পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানায় তারা আধার কার্ড বানিয়ে ফেলে। এদিকে ওই আধার কার্ড দেখার পরে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কিছু করেনি। তবে এরপর ঠিকানা যাচাই করার পরেই দিল্লি পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
দিল্লি পুলিশ তাদের কাছে থাকা আধারকার্ড দেখে চমকে গিয়েছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে ঠিকানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। জাল নথি দিয়ে এই ধরনের পরিচয়পত্র তৈরি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ সেই আধারকার্ডে উল্লেখ করা ঠিকানা যাচাই করে দেখে।
এদিকে ইতিমধ্য়েই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসাবে যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে তাদের কাছে আর কী নথি রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা রংপুরী এলাকায় থাকতেন বলে খবর। তবে তাদের এবার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরানো হচ্ছে বলে খবর।
এদিকে দক্ষিণ পশ্চিম জেলা পুলিশ অনুপ্রবেশকারী কারা রয়েছেন তা তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন। সব মিলিয়ে অন্তত ৪০০ পরিবারের কাছ থেকে নথি পরীক্ষা করেছে দিল্লি পুলিশ। এছাড়াও সন্দেহজনকদের সম্পর্কে তথ্য় পাওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গেও দিল্লি পুলিশের টিম আসছে বলেও খবর।
যে আটজন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার মধ্য়ে এক দম্পতি ও তাদের ৬ সন্তান রয়েছে। পুলিশি জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি ঢাকা থেকে ভারতে এসেছিলেন। কিছুটা জঙ্গলে, কিছুটা ট্রেনে চেপে তিনি ভারতে আসেন। রংপুরী এলাকায় থাকতেন। কিছুদিন দিল্লিতে থাকার পরে তিনি বাংলাদেশ থেকে স্ত্রী ও সন্তানদেরও এনেছিলেন। এদিকে পুলিশ জানতে পারে ওই ব্যক্তি তাদের বাংলাদেশি পরিচয়পত্র সব নষ্ট করে ফেলেছে। অথচ তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন তিনি নাকি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।
এদিকে দিল্লিতে আর কোথাও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে কি না তা চিহ্নিত করতে দিল্লি পুলিশ কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একের পর এক অপারেশন। বিভিন্ন জায়গায় নথি যাচাই করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
এদিকে কয়েকদিন আগেই ১১জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। এরাই ভুয়ো আধারকার্ড ও ভুয়ো ভোটার কার্ড বানানোর কাজ করত বলে অভিযোগ।