বিজেপিকে হারানোর জন্য বিরোধী ঐক্য যে অত্যন্ত প্রয়োজন, তা আবারও জোর দিয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি দাবি করলেন, ‘বিজেপিকে হারানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। আমি একা কেউ নই।’
বুধবার ১০ জনপথে সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন মমতা। সেখানে ছিলেন রাহুল গান্ধীও।তাঁদের মধ্যে প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর মমতা বলেন, ‘এক কাপ চায়ের জন্য সোনিয়াজি ঢেকেছিলেন। রাহুলজিও ছিলেন। সার্বিকভাবে আমরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি।' বুধবার সকালেই সংসদে বিরোধী দলগুলি একটি জরুরি বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস হাজির না থাকলেও সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে বৈঠকে পেগাসাস ‘হ্যাক’, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, 'পেগাসাস, করোনাভাইরাস, বিরোধী ঐক্য নিয়ে আলোচনা করেছি। ভালো বৈঠক হয়েছে। ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। আমার আশা যে ভবিষ্যতে ইতিবাচক ফলাফল মিলবে।’
সম্ভাব্য বিরোধী জোটের ‘মুখ’ কে হবেন, তা নিয়েও উদার অবস্থান নেন মমতা। ১০ জনপথের বাইরে বিরোধী ঐক্যের উপর জোর দিয়ে মমতা বলেন, ‘একা আমি কিচ্ছু নই। বিজেপিকে হারানোর জন্য সবাই একসঙ্গে আসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি থোড়াই লিডার নাকি, আমি তো ক্যাডার, আমি স্ট্রিট ফাইটার।’ সেই মন্তব্যের কিছুক্ষণ আগে সাংবাদিকদের সঙ্গেও আলোচনায় একই সুরে মমতা বলেছিলেন, ‘আমি রাজনৈতিক জ্যোতিষী নই। এটা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। অন্য কেউ নেতৃত্ব দিলেও আমার কোনও অসুবিধা নেই।’
রাজনৈতিক মহলের দাবি, নিজেকে বিরোধী জোটের ‘মুখ’ হিসেবে দাবি না করে মমতা আসলে বার্তা দিতে চাইলেন যে যেভাবেই হোক বিজেপিকে হটাতে চান তিনি। সেটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। সেজন্য বিরোধী জোটের ‘মুখ’ না হলেও তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে ২০২১ সালে বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পর তাঁকে যে অবহেলা করা যাবে না, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা।