গাড়ির বিকল্প জ্বালানি হিসেবে কেন্দ্রের অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে গ্রিন হাইড্রোজেন। এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, ভবিষ্যতে মাত্র এক ডলারে (৮০ টাকার মতো) এক কিলোগ্রাম গ্রিন হাইড্রোজেন বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
গত রবিবার মুম্বইয়ে অ্যাসোলিয়েশন অফ কনসাল্টিং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্সদের আয়োজিত ন্যাশনাল কনফারেন্স ফর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড প্রফেশনালস ফর্ম অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজে গডকড়ি জানান, গ্রিন হাইড্রোজেনই হল ভবিষ্যত। পেট্রোলিয়াম, কয়লা, নর্দমার জল, জৈব বর্জ্য থেকে হাইড্রোজেন তৈরি করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: Toll Tax: ১২ ঘণ্টার মধ্যে ফিরলে টোল ট্যাক্স দিতে হবে না? মুখ খুলল কেন্দ্র
গডকড়ি বলেন, ‘এক কিলোগ্রাম গ্রিন হাইড্রোজেনের দাম এক ডলার করার স্বপ্ন দেখছি আমি।’ কয়লা এবং পেট্রল-ডিজেলের পরিবর্তে বিমান পরিবহণ, গাড়ি চলাচল, রেল চলাচল, বাস চলাচল, সার কারখানা, রাসায়নিক কারখানায় গ্রিন হাইড্রোজেন ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, এক লিটার ইথানলের দাম ৬২ টাকা। এক লিটার পেট্রল হল ১.৩ লিটার ইথানলের সমতুল্য। সেই বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল ইন্ডিয়ান অয়েল।'
'টোলপ্লাজা উঠে যাবে'
সম্প্রতি গডকড়ি জানান, ছয় মাসের মধ্যে দেশে সব হাইওয়ে থেকে টোলপ্লাজার ব্যবস্থা উঠে যাবে। পরিবর্তে গাড়ির নম্বর প্লেটের থেকেই সরাসরি টোল কেটে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে পারে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর মতে, টোলপ্লাজা দেশের অনেক সমস্যার কারণ। লম্বা লাইনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। যানজট তৈরি হয়। তাই বিকল্প উপায় খোঁজা হচ্ছে। ‘সরকার দুটি বিকল্প পথ খুঁজছে। উপগ্রহভিত্তিক জিপিএস ব্যবস্থার কথা ভাবছে সরকার। তাহলে গাড়ির মালিকের অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়া হবে বা নম্বর প্লেট থেকে সরাসরি টাকা কেটে নেওয়া হবে, এমন বিকল্পের কথাও ভাবা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সমস্ত পুরনো গাড়িতে নতুন নম্বর প্লেট বসানো হবে, জানালেন গডকড়ি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্যাটেলাইট ব্যবহার করে জিপিএস ব্যবহার করতে চাই ফাস্ট্যাগের বদলে। নয়া পদ্ধতি চালু করার প্রক্রিয়ায় আছি আমরা এবং এর ভিত্তিতে আমরা টোল নিতে চাই। নম্বর প্লেটেও প্রযুক্তি পাওয়া যায় এবং ভারতেও অন্যান্য আরও ভালো প্রযুক্তি পাওয়া যায়। আমরা নির্দিষ্ট প্রযুক্তি বেছে নেব। যদিও আমরা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিইনি। আমার দৃষ্টিতে নম্বর প্লেট প্রযুক্তিতে কোনও টোলপ্লাজা থাকবে না এবং একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটারাইজড ডিজিটাল সিস্টেম থাকবে, যার মাধ্যমে আমরা চালকদের স্বস্তি দিতে পারি। কোনও লাইন থাকবে না এবং মানুষ বড় স্বস্তি পাবে। ছয় মাসের মধ্যে আমি এটি করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব। দেশের মানুষকে যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এটি জরুরি।’