২০২২ সালে নির্বাচন পঞ্জাবে। সেরাজ্যে কংগ্রেসের ক্ষমতাসীন সরকারের ফিরে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষক আন্দোল, এনডিএ-তে ভাঙন সহ একাধিক কারণে পঞ্জাবে 'অ্যাডভান্টেজ কংগ্রেস'। তবে সেই অ্যাডভান্টেজ বজায় রাখতে হলে অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে হবে, তা জানা আছে কংগ্রেসের হাইকমান্ডের। আর তাই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই তৎপর কংগ্রেস। অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে বিশেষ প্যানেল গঠন করেছে কংগ্রেস। সেই প্যানেলের পরামর্শেই এবার নভজ্যোত্ সিং সিধুকে দেওয়া হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তবে কংগ্রেসের মাথায় রাখা হবে সেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংকেই।
উল্লেখ্য, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সিধু। তবে অমরিন্দরের সঙ্গে মতবিরোধ তুঙ্গে উঠলে কংগ্রেসের অন্দরে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ভারতীয় দলের প্রাক্তন এই ব্যাটসম্যান। এই অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে কংগ্রেস একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটিতে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে রয়েছেন। তাছাড়া রয়েছেন জয় প্রকাশ আগরওয়াল এবং হরিষ রাওয়াত। এই কমিটি দলের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা করে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির সদস্যরা দলের ১৫০ জন নেতা, কর্মী, বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন। এই আবহে পাঁচটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কমিটির তরফে। সিধুকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়ে বা দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হোক। দলের সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হোক। দলিতদের কাছে পৌঁছতে হবে। দলিতদের গুরুত্ব দেওয়া হোক দলে। বিভিন্ন কর্পোরেশনের শূন্যপদগুলি পূর্ণ করা হোক। কমিটিকে নাকি অধিকাংশ বিধায়ক জানিয়েছেন, শুধু অমরিন্দর সিংয়ে হবে না। সিধুকেও চাই। তবে অমরিন্দর সিংয়ের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে দলীয় কর্মী এবং হাই কমান্ডের। তাই, ক্যাপ্টেনের হাতে দায়িত্ব রেখেই সিধুর গুরুত্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে কংগ্রেস।