ভারতের বেঙ্গালুরুতে তিনবছর আগে ফুড ডেলিভারি ব্যবসা চালু করেছিল আমাজন। তবে এবার এই ব্যবসা বন্ধ করতে চলেছে আমাজন। এদিকে আমাজনের স্কুল লার্নিং প্ল্যাটফর্মটির পরিসরও কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাজন। আগামী ২০২৩ সালের অগস্টে প্ল্যাটফর্মটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমাজন।
এদিকে ফুড ডেলিভারি ব্যবসা বন্ধ করা নিয়ে আমাজন নিজেদের পার্টনার রেস্তোরাঁর উদ্দেশে বলে, ‘আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে আমাজনের ফুড ডেলিভারি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের জেরে আমাজন ফুডের মাধ্যমে গ্রাহকরা আর খাবারের অর্ডার পাবেন না। তবে ২৯ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যথারীতি অর্ডার অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করা হবে। আশা করি, ততদিন পর্যন্ত অর্ডার অনুযায়ী খাবার সরবরাহ করবেন রেস্তোরাঁগুলি। খাবারের বিনিময়ে প্রাপ্য টাকা পেতে কোনো সমস্যা হবে না রেস্তোরাঁগুলিকে।’
২০২০ সালে আমাজনের ফুড ডেলিভারি ব্যবসা শুরু হয়েছিল ভারতে। তবে সেভাবে এর ব্যবসা ছড়িয়ে দিতে পারেনি আমাজন। আমাজনের তরফে বলা হয়, ‘আমরা হঠকারিতায় এই সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা ধাপে ধাপে এই পরিষেবা বন্ধ করা হচ্ছে। যাতে আমাদের পার্টনার বা গ্রাহকরা সমস্যায় না পড়ে।’
এদিকে কর্মী ছাঁটাই প্রসঙ্গে আমাজনের তরফে দাবি করা হয়েছে, কোনও কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়নি। তবে, অনেকেই স্বেচ্ছায় কাজ ছেড়েছেন। কর্মী ছাঁটাইয়ের অভিযোগ নিয়ে বেঙ্গালুরুতে ডেপুটি চিফ শ্রম কমিশনারে হাজিরা দিতে হয় আমাজন কর্তাকে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য শ্রম দফতরে একটি পিটিশন জামা দিয়েছিল পুনে-ভিত্তিক আইটি ইউনিয়ন। তাদের অভিযোগ ছিল, অনৈতিক এবং অবৈধ ছাঁটাই চলছে আমাজনে। তবে সেই কথা মানতে নারাজ আমাজন। এদিকে সংস্থার সিইও অ্যান্ডি জ্যাসি কর্মীদের সতর্ক করে জানান, ২০২৩ সালের প্রথম দিকে কোম্পানিতে আরও ছাঁটাই হবে।