করোনা পরিস্থিতি বেড, অক্সিজেনের চাহিদা তুঙ্গে। এমন পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান হর্ষ নেওটিয়া। আইসিআইসিআই লম্বার্ড-এর সিইও ভার্গব দাশগুপ্তের সহায়তায় নিউটাউনে গড়ে তুললেন ‘বিনোদ নেওটিয়া কোভিড কেয়ার সেন্টার’।
মোট ৫৮ শয্যা বিশিষ্ট এই অস্থায়ী হাসপাতাল মাত্র ১২ দিন সময়ের মধ্যেই তৈরী করা হয়েছে। হর্ষ নেওটিয়া জানান, তিন সপ্তাহ আগে তিনি করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ীই আইসিআইসিআই লম্ব্যার্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে এই কোভিড সেন্টার তৈরীর কাজ শুরু করেন। ভাগীরথী নেওটিয়া ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার সেন্টারের পাশেই এটি গড়ে তোলা হয়েছে। এটি তৈরীতে মোট ৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান হর্ষ নেওটিয়া।
হর্ষ নেওটিয়া জানান, মোট ৯ জন চিকিত্সক এই কোভিড সেন্টারে দায়িত্বে থাকবেন। প্রতি শিফট ৩ জন চিকিত্সক থাকবেন। রয়েছেন একজন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকও। প্রতি ৪ জন রোগী পিছু একজন নার্স থাকবেন।
প্রাথমিকভাবে ৬ মাস এই কোভিড সেন্টার চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান হর্ষ নেওটিয়া। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হবে আরও বেশিদিন চালানো হবে বলে জানান তিনি।
মাইল্ড-টু-মডারেট করোনা আক্রান্তদেরই রাখা হবে এই কোভিড সেন্টারে। যাঁদের গুরুতর অবস্থা, তাঁদের এই অস্থায়ী সেন্টারে চিকিত্সার ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে তাঁদের আরও বেশি সুবিধা সম্পন্ন হাসপাতালে রেফার করা হবে। শুধু তাই নয়, কোনও রোগীর প্রয়োজনে থাকছে সর্বক্ষণের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা।
খরচ?
একজন করোনা আক্রান্তের এই কোভিড ওয়ার্ডে থাকতে দিনে ৭.৫-৮ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
ফোন নম্বর : 7596066606 এবং 03366405122/23
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়িতে নেওটিয়া গেটওয়েল হাসপাতালেও কোভিড চিকিত্সা চলছে। বর্তমানে ২৫০ বেডের মধ্যে ৭০টি কোভিড বেড হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।