দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পর্কিত ব্যাপারে চিন তাদের দায়বদ্ধতার কথা জানিয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য় সংস্থা ও প্যারিস ক্লাইমেট অ্য়াকর্ড( জলবায়ু চুক্তি)। আসলে সদ্য আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি চুক্তি থেকেই বেরিয়ে আসার জন্য় দেশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার পরেই তিনি একটি কার্যনির্বাহী নির্দেশে সই করেন। সেখানে হু থেকে সরে আসার কথা উল্লেখ করা আছে। কোভিড ১৯ মহামারি মোকাবিলার হুয়ের ভূমিকার সমালোচনা করে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছে আমেরিকা।
সেই সঙ্গেই প্যারিস ক্লাইমেট অ্য়াকর্ড থেকেও বেরিয়ে আসার কথাও বলা হয়। আবহাওয়ার পরিবর্তন মোকাবিলায় তাদের ভূমিকার সমালোচনা করে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন মার্কিন প্রত্যাহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি জানিয়েছেন, চিন আগের মতোই হু'কে সাপোর্ট করবে যাতে তারা দায়িত্ব পালন করতে পারে। মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে যাতে পদক্ষেপ নেওয়া যায় সেব্যাপারে একযোগে কাজ করার জন্য় এই সাপোর্ট বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বেশ জোরের সঙ্গে জানিয়েছেন, হু-য়ের ভূমিকাকে আরও শক্তপোক্ত করা দরকার। এগুলিকে দুর্বল করা নয়।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সবাইকে এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে ভুগতে হচ্ছে। কোনও দেশই এই বিষয়টি থেকে দূরে থাকতে পারে না।
তিনি জানিয়েছেন, চিন সমস্ত পক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলি সম্পর্কে মোকাবিলা করবে।
ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে আমেরিকা ও চিনের মধ্য়ে সম্পর্ক ঠিক কী ধরনের হবে তা নিয়েও জোর চর্চা চলছে।
গুও জানিয়েছেন, যে এটা আশা করা যাচ্ছে যে আমেরিকা চিনের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে। আমেরিকা-চিন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
টিকটকের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, চিনের কোম্পানিগুলির জন্য চিন একটা উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ চায়।