একদিকে যখন মার্কিন মুলুকে সেদেশের প্রেসিডেন্ট পদে বসার জন্য কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে জোর টক্কর হবে, ঠিক সেই সময়েই ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে অনুষ্ঠিত হবে এক বিশেষ অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের অন্যতম হলেন একজন মার্কিন শিল্পোদ্যোগী তথা সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার সিইও। হিসাব বলছে, এই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ইতিমধ্যেই ১০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে - 'ইউএস ইলেকশন শোডাউন চ্যালেঞ্জ অ্য়ান্ড প্রেডিক্ট-অ্যাথন'।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি রাজধানী হিসাবে পরিচিত বেঙ্গালুরু শহরের ইন্দিরানগরে মঙ্গলবার সন্ধে থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এই অনুষ্ঠানকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ব্যবস্থাপনায় কোনও খামতি রাখা হয়নি আয়োজকদের তরফে। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে 'ভবিষ্যদ্বাণী' করা থেকে শুরু করে নানা ধরনের ব়্যাপিড ফায়ার চ্যালেঞ্জ, মিম, জোকস প্রভৃতি এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে।
ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে ইন্টারনেটে খবর, সমালোচনা, আলোচনা, ব্যঙ্গ, মশকরা-সহ অসংখ্য ধরনের কনটেন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলির মধ্যে বহু পোস্ট ভাইরালও হয়েছে। মঙ্গলবারের এই অনুষ্ঠানে সেসবও উপস্থাপনা করা হবে।
সবথেকে বড় কথা হল - খাবার! তিনঘণ্টার এই অনুষ্ঠানে যাঁরা অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের জন্য ইন্দো-মার্কিন ফিউশন খাবার পরিবেশন করবেন আয়োজকরা। সেই খাদ্যতালিকায় থাকছে - হ্যামবার্গার-দোসা থেকে শুরু করে পিনাট বাটার ও জেলি-সহযোগে ইডলি!
উল্লেখ্য, সোমবারই নির্বাচনী প্রচার শেষ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার মার্কিন সময় অনুসারে রাত ১১টাতেই অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটাভুটি শেষ হয়ে যাবে।
শেষ মুহূর্তের একাধিক জনমত সমীক্ষা অনুসারে, ৭৮ বছরের ট্রাম্প ও ৬০ বছরের হ্যারিসের মধ্যে জোর টক্কর হবে। শুধু তাই নয়, এবারের নির্বাচনের পর বিজয়ীর নাম ঘোষণা করতে অতিরিক্ত সময়ও লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেইসঙ্গে রয়েছে অশান্তির আশঙ্কাও! বিশেষত ট্রাম্প যেখানে আগেভাগেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন, নির্বাচনের রায় তাঁর বিপক্ষে গেলে তিনি তা সহজে মানবেন না। যেমনটা তিনি ২০২০ সালেও করেছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ফিরলেই তিনি আমেরিকার গৌরব এক নতুন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করবেন। অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের বক্তব্য হল, ট্রাম্প এবার জিততে পারবেন না। কারণ, জনমত তাঁদের পক্ষে রয়েছে।