রাজস্থানে এক চিকিৎসকের আত্মহত্যা ঘিরে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় এবার এক পুলিশ আধিকারিককে অপসারণ করল অশোক গেহলটের সরকার। এদিকে এই ঘটনার মাঝেই দুই সরকারি কর্মীকে নিগ্রহেরও ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাতেও এক পুলিশ আধিকারিককে সরানো হয়েছে সরকারের তরফে।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের দৌসার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ২২ বছর বয়সী গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুর পর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে সেই অভিযুক্ত ডাক্তার তাঁর বাড়িতে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গিয়েছে। আত্মঘাতী ডাক্তারের নাম অর্চনা শর্মা। আত্মঘাতী হওয়ার আগে অর্চনা নিজের স্বামী, সন্তানদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে গিয়েছেন। এদিকে এই ঘটনায় কংগ্রেস বিধায়ক গিরিরাজ সিং মালিঙ্গাসহ সাতজন দুই সরকারি আধিকারিককে নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জয়পুরের ডিভিশনাল কমিশনার দীনেশ কুমার যাদবকে হামলার তদন্ত করতে বলেছেন। এদিকে অর্চনার বিরুদ্ধে খুনের মামলা নথিভুক্ত করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অশোক গেহলট। এদিকে গেহলট চিকিৎসকদের হয়রানি রোধে কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশ দেন। গেহলট বলেন, তদন্ত চলছে এবং দোষী ব্যক্তিদের রেহাই দেওয়া হবে না। এদিকে তিনি নিগ্রহের ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, সরকার পরিশ্রমী কর্মচারীদের পূর্ণ সুরক্ষা দেবে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘আইন হাতে তুলে নেওয়ার এবং কর্মচারীদের মারধর করার অধিকার কারও নেই... দোষীরা রেহাই পাবে না... তারা যেই হোক না কেন।’