আর্থিক সংকটে বহুদিন ধরে বিদ্ধ শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্র নিজেকে ইতিমধ্যেই ঋণ খেলাপী বলে ঘোষণা করেছে। এবার সেদেশের পাবলিক সেক্টর অফিস থেকে শুরু করে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই নয়া বিধি লাগু হতে চলেছে।
আর্থিক সংকটের মধ্যে দেশে রয়েছে জ্বালানির প্রভূত অভাব। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সড়কপথে চলাফেরা রুখতে বাধ্য হয়েছে। সেই নিরিখে স্কুলগুলির শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে না এসে বাড়ি থেকে অনলাইনে পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য, শুধু কি জ্বালানির সমস্যা? সংকটের মেঘ রয়েছে সেদেশের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়েও। আর সেই নিরিখেই অফিস থেকে শুরু করে স্কুলের দরজা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, ফরেন এক্সচেঞ্জ ইস্যুতে প্রবল আর্থিক ধাক্কা খেয়ে কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে কলম্বোর। ধীরে ধীরে ধুঁকে পড়েছে সেদেশের বিভিন্ন সেক্টর।
বহু সেক্টর এখনও পর্যন্ত ক্রমাগত খারাপ পরিস্থিতির দিকে চলে যাচ্ছে এই আর্থিক সংকটের জেরে। এদিকে দেশে বাড়তে থাকা জ্বালানির সমস্যার জেরে বহু পেট্রোল পাম্পে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। জ্বালানির সমস্যার জেরে পেট্রোল পাম্পের সামনে বহু গাড়ির লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। এদিকে, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সরকারি অফিস ও স্কুলগুলি বন্ধ থাকছে সোমবার থেকে। এছাড়াও আগামী সোমবার থেকে প্রাইভেট স্কুলও শ্রীলঙ্কায় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সদ্য আর্থিক সংকটের জেরে শ্রীলঙ্কা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পট পরিবর্তন হয় সামাজিক দিক থেকে। রাজনৈতিক মসনদে আসেন নতুন নেতা। তবে বিপুল আর্থিক সংকটের রেশ এখনও কাটেনি শ্রীলঙ্কার ওপর থেকে।