গিলেন বা সিন্ড্রোম ঘিরে মহারাষ্ট্রে উদ্বেগ রয়েছে। স্নায়ু সংক্রান্ত একটি জটিল রোগ এই গিলেন বা সিন্ড্রোম। কিছুদিন আগেই পুনেতে এই গিলেন বা সিন্ড্রোমের শিকার হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। সদ্য সেখানে আরও ৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। ফলে সংখ্যাটা উদ্বেগজনক অঙ্কে পৌঁছে যায়। এই পরিস্থিতিতে সদ্য গিলেন বা সিন্ড্রোম ঘিরে মহারাষ্ট্রে বেড়ে চলা উদ্বেগ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার।
অজিত পাওয়ার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গিলেন বা সিন্ড্রোম নিয়ে নানান প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি সাফ জানান, মুরগির মাংস বা চিকেন ভালো করে রান্না না করে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ফলে অর্ধেক রান্না হওয়া বা আধসেদ্ধ মুরগির মাংসা যাতে জনসাধারণ না খান, সেই বিষয়ে তিনি জোর দেন। এছাড়াও পুনেতে এই রোগ হু হু করে বেড়ে চলা নিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন,' সদ্য খাড়াকওয়াসলা বাঁধ (পুনে) এলাকায় জিবিএস-র প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। যদিও কেউ কেউ এটিকে জল দূষণের সাথে যুক্ত করেছেন, অন্যরা অনুমান করেছেন যে এটি মুরগির মাংস খাওয়ার কারণে হয়েছে। বিশদ পর্যালোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে পোলট্রির প্রাণী (হাঁস-মুরগি ) মারার কোনো প্রয়োজন নেই।' এদিকে, চিকিৎসকরা সাবধান করছেন যে, জল ও খাবার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন,' চিকিত্সকরাও পরামর্শ দেন যে খাবার ভালভাবে রান্না করা উচিত। জিবিএস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এবং পোল্ট্রির প্রাণী মারার কোনো প্রয়োজন নেই।'
এদিকে, শনিবার একটি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, স্বাস্থ্য আধিকারিকদের মতে, মহারাষ্ট্রে সন্দেহভাজন এবং নিশ্চিত জিবিএস সংক্রমণের মোট সংখ্যা ২০৮ এ নিয়ে এসেছে। ফলত জিবিএস-র জেরে আক্রান্তের সংখ্যা একশো পার করে তা ২০০র গণ্ডী ছুঁয়েছে। এই জিবিএসের জেরে পেশি দুর্বল হতে শুরু করে, হাত পায়ের সংবেদনশীলতা কমতে থাকে। অনেক সময় শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। তবে এর সঠিক কারণ নিয়ে এখনও খোঁজ চলছে। মনে করা হচ্ছে, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে এমনটা হতে পারে।