কর্ণাটকে স্থানীয়দের বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরিতে কন্নড়দের নির্দিষ্ট সংরক্ষণ নিয়ে একটি বিল এনেছিল সেরাজ্যের কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়াহ সরকার। সেখানে সংস্থা ও কারখানাগুলিতে যাতে স্থানীয়রা চাকরির সুযোগ পান, সেজন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে স্থানীয়দের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তি নগরী বেঙ্গালুরু দিনভর সরগরম ছিল। ন্যাসকমের তরফে তুমুল সমালোচনা করা হয়। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবসা কর্ণাটক থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে। এরপরই নড়েচড়ে বসে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, আপাতত এই বিল স্থগিত রাখা হচ্ছে। বিল ফের খতিয়ে দেখা হবে, এবং ভবিষ্যতে কী করণীয়, তা আগামী কয়েকদিনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
( CBSE Class 12 Exam Update: এবার থেকে ক্লাস ১২ এর পরীক্ষা দু'বার করে নেবে CBSE?)
( Durga Puja 2024: দুর্গাপুজো ২০২৪ এর কাউন্টডাউন শুরু! উইকেন্ডে রয়েছে নবমী-দশমী, রইল তারিখ, দিনক্ষণ)
কর্ণাটকের মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এক এক্স পোস্টে লেখেন,'প্রাইভেট সেক্টর, শিল্পজগত ও এন্টারপ্রাইজে স্থানীয় কন্নড়দের চাকরিতে সংরক্ষণের বিষয়ে যে বিল মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে, তা আপাতত স্থগিত।' এর আগে, তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বহু তাবড় ব্যক্তি কর্ণাটকের এই বিল নিয়ে সমালোচনা করেন। ন্যাসকমের তরফে সাফ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে তারা আইটির ব্যবসা অন্যত্র নিয়ে যেতে পারেন। সেই বার্তায় প্রত্যুত্তর দিয়ে অন্ধ্র প্রদেশের তরফে টিডিপি মন্ত্রী নারা লোকেশ জানান, আইটির ব্যবসা তাঁদের রাজ্যে আসলে তাঁরা তাকে স্বাগত জানাবেন। এজন্য তথ্য প্রযুক্তির ব্যবসার জন্য ন্যাসকমের কাছে অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজাগে আসারও আমন্ত্রণ দেন নারা লোকেশ। কর্ণাটকের এই বিল ঘিরে বাণিজ্যমহলের সমালোচনার ঝড়ের মাঝে ব্যবসাকে নিজের রাজ্যে টানতে তৎপর হয়ে ওঠে অন্ধ্রপ্রদেশ। এই পরিস্থিতিতে আচমকাই বিল স্থগিত করে দেন সিদ্দামারাইয়া।
প্রসঙ্গত, যে বিল নিয়ে এই তুমুল শোরগোল ছিল সেখানে বেসরকারি ক্ষেত্রে ম্যানেজারের পদে ৫০ শতাংশ স্থানীয় কন্নড়দের চাকরি ও ম্যানেজার বাদে বাকি পদে ৭০ শতাংশ স্থানীয়দের চাকরির প্রস্তাব ছিল। এছাড়াও সেরাজ্যে চাকরি করতে গেলে কন্নড় ভাষা শেখার বিষয়েও বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে বিলে। এই বিল নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। কর্ণটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁর এক্স পোস্টে লেখেন,'মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ব্যাপক আলোচনা হবে।' ফলে এই বিল নিয়ে সিদ্দা-মন্ত্রিসভা কোন সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে তাকিয়ে দেশ।