ভারতের ‘ক্রেডিট লাইন’ (ঋণ) শেষ হতেই ফের জ্বালানি সংকটের মুখে পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কা। এই আবহে ফের নতুন করে দ্বীপরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। হাজারে হাজারে মানুষ রাস্তায় নেমে নতুন করে সরকারের পতনের দাবি জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চাপের মুখে ভুল স্বীকার করলেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
সোমবার ১৭ জন নতুন মন্ত্রীদের সাথে কথা বলার সময় রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাক্ষে ভুল স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘গত আড়াই বছরে আমাদের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জই ছিল। কোভিড মহামারী, সেইসাথে ঋণের বোঝা এবং আমাদের পক্ষ থেকে কিছু ভুলও হয়েছিল। এই ভুলগুলি সংশোধন করা দরকার। এগুলো সংশোধন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জনগণের আস্থা ফিরে পেতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মানুষ আজ প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। আমি এই অবস্থার জন্য গভীরভাবে দুঃখিত।’
সেদেশে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে জ্বালানির সমস্যা তুঙ্গে। এই আবহে এক লিটার পেট্রল পেতে হলেও কয়েক কিলোমিটার লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এই আবহে দেশকে ‘দেউলিয়া’ ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে ৫১ বিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা তাদের মাথায় রয়েছে, তা তারা শোধ করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে ভারতের থেকে তাও কিছুটা সাহয্য পাচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সেই সাহায্য শেষ হতেই ফের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। কলোম্বো থেকে ক্যান্ডি ১১৫ কিমি লম্বা হাইওয়ের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ শুরু করেছে আম জনতা। পুরো রাস্তা জুড়ে বাস বা ট্রাক দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে একলাফে জ্বালানির দাম শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ৮২ টাকা বাড়িয়ে তা লিটার পিছু ৩৩৮ টাকা করা হয়েছে। এতে আরও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এই আবহে সরকারের কাজ আরও কঠিন হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।