উৎপল পরাশর
মিজোরামের একটি প্রভাবশালী যুব সংগঠনের দাবি, মায়ানমার সেনার একটি বোম ভারতীয় মাটিতে এসে পড়েছিল।একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তাঁবুর কাছে এই বোমা এসে পড়ে বলে দাবি করা হয়েছে। ঠিক কী দাবি করা হচ্ছে?
তবে মিজোরামের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও অসম রাইফেলস এই দাবি মানতে চায়নি। এদিকে সূত্রের খবর, ক্যাম্প ভিক্টোরিয়ার উপর মায়ানমার মিলিটারি একের পর এক আঘাত হেনেছিল। এটি চিন ন্যাশানাল ফ্রন্টের সদর দফতর বলে মনে করা হয়। ১০ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ এই হামলা হয়। মিজোরামে সীমান্ত লাগোটা চাম্পাই জেলার কাছেই এই ঘটনা।
ইয়ং মিজো অ্য়াসোসিয়েশন বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই বোম শুধু ভারতের মাটিতে পড়েছে এমনটাই নয়, ভারতের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে। তিয়াউ নদীর কাছে এই ঘটনা। গাড়িটি আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছেই নদী থেকে বালি তুলতে গিয়েছিল। তখনই বোম এসে পড়ে।
এদিকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে ওই বোমের হানায় ভারতীয় কৃষকরা অত্যন্ত আতঙ্কিত। সীমান্তের বাসিন্দারা এনিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে মায়ানমারের জেট ফাইটার অন্তত দুবার বোম ফেলে গিয়েছে। এর জেরে কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছেন কৃষকরা।
এদিকে এই হামলার বিরুদ্ধে ভারতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছে যুব সংগঠন। তাদের দাবি ভারতীয় আকাশসীমাকে ব্যবহার করছে মায়ানমার। ওরা বোম ফেলে চলে যাচ্ছে। উড়ছে তাদের যুদ্ধ বিমান। এটা মানা যায় না।
তবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন বিষয়টি একেবারেই মানতে চায়নি। ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, মিজোরাম সীমান্তের কাছে বোম্বিং হতে পারে। তবে আমাদের দিকে কোনও বোম পড়েনি। বুধবারের বোম্বিংয়ের জেরে ওখান থেকে শরনার্থীরা ঢুকে পড়েছেন এমন খবরও আমাদের কাছে নেই।
অসম রাইফেলসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,মিজোরামের দিকে বোম পড়তে পারে। কিন্তু আমাদের দিকে বোম পড়ার কোনও খবর নেই। তিনিও ভারতের দিকে বোম পড়ার খবরের সত্যতা মানতে চাননি।
এদিকে মিজোরাম ও মায়ানমারের মধ্যে প্রায় ৫১০ কিমি সীমান্ত রয়েছে। একেবারে লাগোয়া মায়ানমার। গত বছর মায়ানমারে অস্থির পরিস্থিতির জেরে দলে দলে শরনার্থীরা এই দেশে ঢুকে পড়েছিলেন। প্রায় ৩০ হাজার শরনার্থী সেবার ঢুকে পড়েছিলেন। এদিকে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে দমাতেই বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে কি আবার মায়ানমার থেকে স্রোতের মতো শরনার্থীরা আসবেন ভারতে?