মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার প্রায় এক ঘণ্টা ধরে খোলাখুলিভাবে ফোনে কথা বলেছেন বলে জানা গেল। ইউক্রেন সীমান্তের কাছে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই আবহে ক্রেমলিন ইউক্রেনে সুরক্ষা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের দাবিকে জোরালো করতে সম্প্রতি একটি হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে। এই আবহে বাইডেন-পুতিন ফোনালাপ যে তাত্পর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে পুতিনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকোভ নিশ্চিত করেন যে বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকির বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। পুতিন আমেরিকাকে পালটা সতর্ক করে দিয়ে দাবি করেন, এই ধরনের মার্কিন পদক্ষেপের জেরে দুই দেশের সম্পর্কের সম্পূর্ণ ছিন্ন হতে পারে।
এদিকে ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকার জেরে পুতিন নিজেই বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চান। চলতি মাসে এটি দ্বিতীয় ফোনালাপ দুই রাষ্ট্র প্রধানের। এদিকে জেনেভাতে আগামী ১০ জানুয়ারি রাশিয়া ও আমেরিকার আধিকারিকদের মিলিত হওয়ার কথা। এই আবহে গতকাল বাইডেনকে পুতিন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘রাশিয়ার সীমান্তের কাছে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বসানো হয়, তাহলে তার ফল ভালো হবে না।’
রাশিয়ার দাবি, আমেরিকাকে নিশ্চিত করতে হবে যে ইউক্রেন কোনওদিন ন্যাটোতে যোগ দেবে না। পাশাপাশি পূর্বতন কোনও সোভিয়েট দেশে ন্যাটো তাদের অস্ত্র বা ক্ষেপণাস্ত্র বসানো যাবে না। যদিও বাইডেন জানান, এই ধরনের কোনও শর্তের প্রেক্ষিতে আলোচনা শুরু হতে পারে না দুই দেশের মধ্যে।