ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে আমেরিকার। এই সুযোগে চিন যাতে তাইওয়ানের উপর নিজেদের দৃষ্টি না ফেলে, সেই বিষয়ে চিনকে কড়া বার্তা পাঠাল আমেরিকা। ইতিমধ্যেই আমেরিকার দু’টি পারমাণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমান বাহক জাহাজের স্ট্রাইক গ্রুপ ফিলিপিনস সাগরে মহড়া দিচ্ছে। আবার জাপানের কাছে ইয়োকোসুকায় আরও একটি প্যাট্রোলিং গ্রুপ মোতায়েন করেছে মার্কিন নৌসেনা।
এদিকে আমেরিকার এহেন নৌবহর মোতায়েনকে ভালো চোখে দেখছে না চিন। এই আবহে পিপিলস লিবারেশন আর্মির ৩৯টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে রবিবারই। এই বিমানগুলির অধিকাংশই অত্যাধুনিক জে-১০ ও জে-১৬ ছিল। এর থেকেই স্পষ্ট যে তাইওয়ান প্রণালীর এত কাছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের আনাগোনাকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না চিন। যদিও আমেরিকার দাবি, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই আন্তর্জাতিক জলসীমা ধরেই ওই যুদ্ধ জাহাজ মহড়া দিচ্ছে। এদিকে চিনা সেনার এই হুমকির মুখে তাইওয়ানও তাদের সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল অ্যাক্টিভেট করে রেখেছে।
তাইওয়ানের কাছে মার্কিন নৌবাহিনীর এই বিশাল সমাগমের মাধ্যমে অবশ্য ওয়াশিংটন বেজিংকে পরিষ্কার বার্তা পাঠিয়েঠে যে কোনও ভাবে যদি চিনা সেনা তাইপেই দখল বা সেখানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে তাহলে আমেরিকা পদক্ষেপ করবে। ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সাথে সংঘাতের মাঝেও চিনের থেকে নজর ফেরায়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইউক্রেন সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পিএলএ যাতে তাইওয়ানের থেকে দূরে থাকে।
যেহেতু ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন-রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করেছিলেন যে এরই মাঝে চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংকে আগ্রাসী পথ অনুসরণ করে তাইওয়ানের দিকে এগোবে। তবে বাইডেন প্রশাসন এরই মাঝে চিনকে সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনা সেনার মোতায়েন লক্ষ্য করেছে। পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালীতেও যে মার্কিন নজর টিকে আছে, তা স্পষ্ট ভাবে আকারে ইঙ্গিতে বেজিংকে বুঝিয়ে দিচ্ছে ওয়াশিংটন।