ভারতকে গম সরবরাহকারী হিসাবে অনুমোদন দিয়েছে মিশর। আজ এই কথা জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এক টুইট করে পীযূষ বলেন যে ভারতীয় কৃষকরা বিশ্বকে খাওয়াচ্ছেন। তিনি লেখেন, ‘মিশর ভারতকে গম সরবরাহকারী হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। বিশ্ব একটি স্থিতিশীল খাদ্য সরবরাহের জন্য নির্ভরযোগ্য বিকল্প উত্স সন্ধান করছে। এই আবহে নরেন্দ্র মোদীর সরকার পদক্ষেপ করেছে। পাশাপাশি আমাদের কৃষকরা নিশ্চিত করেছে যে আমরা বিশ্বকে সেবা দিতে প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, বিশ্বের বৃহত্তম গম আমদানিকারক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হল মিশর। এর আগে গমের জন্য ইউক্রেন এবং রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল ছিল তারা। কিন্তু ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে ৫০ দিন ধরে চলা যুদ্ধের কারণে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হয়েছে মিশর। মিশরীয় সরকার ভারত ও ফ্রান্স সহ অন্যান্য দেশ থেকে গম আমদানি করার পরিকল্পনার উপর কাজ করছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন দখলের জন্য রাশিয়া হামলা চালাতেই গোটা বিশ্বের কপালে চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছিল। তেলের দাম, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার চিন্তা তো ছিলই; সঙ্গে ছিল খাদ্য সংকটের চিন্তা। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় গম রফতানিকারক দেশ রাশিয়া। তারপরেই তালিকায় অন্যতম দেশ ইউক্রেন। তবে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেন থেকে এখন আর গম রফতানি হচ্ছে না। এদিকে রাশিয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বহু দেশ। এই আবহে ইউক্রেনের স্থান নিতে চাইছে ভারত। এই আবহে গমের মান পরীক্ষা, পরিবহণের মতো বিষয়গুলির দিকে নজর দিয়েছে ভারত। জানা গিয়েছে বন্দরে গম পৌঁছে দিতে অতিরিক্ত রেল ওয়াগনেরও ব্যবস্থা করছে সরকার।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে চিনের পর ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উত্পাদনকারী দেশ। ভারতের ভাণ্ডারে অতিরিক্ত গম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তবে পরিবহণের প্রতিবন্ধকতার জেরে এই অতিরিক্ত গম রফতানি করা কঠিন হয়ে পড়ছিল। তবে সেই প্রতিবন্ধকতা কাটাতে বিগত একমাসে অনেক পদক্ষেপ করেছে সরকার। কেন্দ্র বিশ্ব বাজারের ক্রেতাদের কাছে ভারত প্রমাণ করতে চায় যে তারা উচ্চ মানের গমের স্থিতিশীল সরবরাহ করতে সক্ষম। মিশরের এই অনুমোদন তারই প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।