বিহারের পশ্চিম চম্পারন থেকে এবার কড়া ভাষায় বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন নীতীশ কুমার সোনিয়া গান্ধীর পায়ের নীচে রয়েছেন। লালুর কোলে বসে রয়েছে জেডিইউ।
তিনি বলেন, নীতীশ বাবু প্রতি তিন বছরে একবার প্রধানমন্ত্রী হতে চান। সেকারণে তিনি পক্ষ বদল করেন। জয়প্রকাশ নারায়ণ গোটা জীবন ধরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। আর তারই অনুগামী নীতীশ কুমার সেই কংগ্রেসের নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পায়ের নীচে রয়েছেন।
তিনি বলেন বিজেপির সমর্থনেই একটা সময় নীতীশ কুমার আরজেডির জঙ্গলরাজের বিরুদ্ধে ভোট চাইতেন। সরকার তৈরি করেছিলেন। আর এখন সেই তিনিই লালু প্রসাদ যাদবের কোলে বসে রয়েছেন। তার ছেলেকে মন্ত্রী বানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রাম আসবেন। রাম যাবেন। অনেক কিছুই হবে। কিন্তু নীতীশ কুমারের জন্য বিজেপির দরজা চিরদিনের জন্য় বন্ধ। আরজেডি ও জেডিইউকে তিনি তেল আর জলের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, আরজেডি হল তেল আর জেডিইউ হল জল।
আর সেই তেল আর জল কোনওদিন মিশতে পারে না। ওরা একসঙ্গে থাকতে পারে না।
এদিকে বিগত দিনে বিজেপির সঙ্গে সখ্য়তা ছিল জেডিইউর। তবে এখন সেই বিজেপিকে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছেন নীতীশ কুমার। সম্প্রতি দলের মিটিংয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, বিগতদিনে জেডিইউর ফল খারাপের বড় কারণ সেই সময় সহযোগী বিজেপি নানাভাবে অসহযোগিতা করত। তার জেরেই ফল খারাপ হত। আর ২০২৪ সালে বিজেপিকে পরাস্ত করা সম্ভব যদি বিরোধীরা সকলে একজোট হতে পারেন।
তবে এসবের মধ্য়েই লালুপুত্রের নেতৃত্বে ২০২৫ সালের নির্বাচন লড়ার কথাও জানিয়ে বিরাট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু বাস্তবে জাতীয় ক্ষেত্রে জোট কতটা হয়, বাস্তবে বিহারে আরজেডি-জেডিইউ সুসম্পর্ক কতদিন থাকে সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।
তবে ২০২৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই বড় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি সম্প্রতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আরজেডি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে এই লড়াই হবে। তবে নীতীশের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জোর শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। তবে কি জাতীয় রাজনীতিতে মন দেবেন নীতীশ? সেকারণে লালু পুত্রের হাতে বিহারের ক্ষমতার ব্যাটন তুলে দিতে চাইছেন তিনি? তবে এবার সেই নীতীশকে তুলোধোনা অমিত শাহের।