স্পিকার পদ নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। এমনকী কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে ডেপুটি স্পিকার পদটি বিরোধীদের দিয়ে দেওয়া, এটা একটা প্রথা। এবার সেই নিরিখে এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধীদের খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ, তামিল নাড়ু, কর্নাটক, কেরল, তেলাঙ্গানা, ঝাড়খণ্ড, পাঞ্জাবে, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশে হয় কংগ্রেসের নয়তো ইন্ডি জোটের শরিক দলের সরকার রয়েছে। সেই রাজ্যগুলির মধ্য়ে কোথায় শাসকদল বিরোধী দলের জন্য ডেপুটি স্পিকার পদটি ছেড়ে দিচ্ছে?
একেবারে মোক্ষম প্রশ্ন করেছেন অমিত মালব্য। এবার এনিয়ে বিরোধীরা কী জবাব দেন সেটাই এখন দেখার।
এবার স্পিকার পদ নিয়ে জোর লড়াই শুরু হয়েছে। একদিকে বিজেপি সহ এনডিএ জোট। আর অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট। লোকসভার স্পিকার পদ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে লড়াই একেবারে চরমে উঠেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে আগে এনিয়ে বিশেষ দেখা যায়নি।
স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার পদে কে বসবেন তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্য়ে একেবারে সমানে সমানে টক্কর শুরু হয়েছে। বুধবার এনিয়ে ভোটাভুটির কথা রয়েছে। একদিকে বিজেপির ওম বিড়লা ও অন্যদিকে কংগ্রেসের তরফে রয়েছেন কে সুরেশ। সব মিলিয়ে একেবারে চূড়ান্ত লড়াই। প্রসঙ্গত ওম বিড়লা হলেন রাজস্থানের কোটার তিনবারের এমপি। আর কে সুরেশ হলেন কেরলের মাভেলিকারার ৮ বারের এমপি। তিনি হলেন এবারের সাংসদে সবথেকে বেশি বার জেতা কোনও এমপি।
তবে হাওয়া যেদিকে তাতে বিজেপির ওম বিড়লা ২৯৩ ভোট পেয়ে জিতে যেতে পারেন। আর ইন্ডিয়া জোটের তরফে ২৩২টি ভোট পেতে পারেন কে সুরেশ।
কে সুরেশ ইতিমধ্য়েই জানিয়েছেন, এটা হল দলের সিদ্ধান্ত। এটা আমার কোনও সিদ্ধান্ত নয়। এটা হল একটা প্রথা যে ডেপুটি স্পিকার বিরোধীদের থেকে হওয়াটাই বাঞ্চনীয়। কিন্তু ওরা এটা করতে চাইছে না। আমরা ১১টা ৫০ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তারপরেও কোনও জবাব পাইনি। সেকারণেই আমরা এই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকারের পদ কোনও বিরোধী দলের কাছে যাবে এরকম কোনও প্রথা নেই।
এদিকে স্পিকার পদে ফের ওম বিড়লাকে ফিরিয়ে আনতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে এনডিএ। বিরোধীদের কাছ থেকে সম্মতি আদায়ের জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিরোধীরা অত সহজে বিষয়টি ছাড়়তে নারাজ।