সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। রবিবার দিল্লি এইমসের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস পরবর্তী চিকিৎসার পর গত মাসের শেষের দিকে শাহকে এইমস থেকে ছাড়া হয়েছিল। তারপর শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ তাঁকে ফের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পরে এইমসে মিডিয়া ডিভিশনের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'করোনাভাইরাস পরবর্তী চিকিৎসার পর গত ৩০ অগস্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নয়াদিল্লির এইমস থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময়ের পরামর্শ মতো, সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে পুরো স্বাস্থ্য পরীক্ষার স্বার্থে এক-দু'দিনের জন্য তাঁকে এখন হাসপাতালে ভরতি রাখা হয়েছে।'
গত ২ অগস্ট শাহের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। একটি টুইটবার্তায় জানিয়েছিলেন, ‘করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর আমি করোনা টেস্ট করিয়েছিলাম। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে। তা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছি। গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা দয়া করে নিজেদের আইসোলেশনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।’
মাঝে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসার গুজব ছড়ালেও শেষপর্যন্ত ১৪ অগস্ট হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন শাহ। জানিয়েছিলেন, বাড়িতেই নিভৃতবাসে কাটাবেন তিনি। কিন্তু তিনদিন পর অর্থাৎ ১৭ অগস্ট রাতে শাহকে দিল্লি এইমসে ভরতি করা হয়েছিল। পরদিন সকালে হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ক্লান্তি বোধ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গায়ে ব্যথাও হচ্ছে। করোনা পরবর্তী চিকিৎসার জন্য এইমসে ভরতি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে। তাঁর করোনা রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছিল বলে জানানো হয়েছিল।
সেই দফায় দু'সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন শাহ। বাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকেও হাজির হয়েছিলেন। তারইমধ্যে আগামিকাল (সোমবার) থেকে সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আবারও হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন শাহ।