দেশের ১৩টি রাজ্যে একযোগে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যেপ পুলিশ। এরই মাঝে দিল্লিতে ইডি, এনআইএ-র শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।
তেলাঙ্গানা, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, অসম সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই অভিযান চালানো হয়। সন্ত্রাসে মদতের জন্য অর্থ সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ শিবির চালানো এবং নির্ধারিত সংগঠনে যোগদানের জন্য লোকদের উগ্রপন্থার পাঠ পড়ানো ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে তাদের বাড়িতে এই অভিযান চালায় সন্ত্রাসবিরোধী টাস্ক ফোর্স। কলকাতাতেও অভিযান চালায় এনআইএ, ইডি। তাছাড়া বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পুডুচেরি, রাজস্থানেও অভিযান চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই অভিযান চলাকালীন ১০০ জনের মতো পিএফআই নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেরলে ২২, মহারাষ্ট্রে ২০, কর্ণাটকে ২০, অন্ধ্রপ্রদেশে ৫, অসমে ৯, দিল্লিতে ৩, মধ্যপ্রদেশে ৪, পুডুচেরিতে ৩, তামিলনাড়ুতে ১০, উত্তরপ্রদেশে ৮ এবং রাজস্থানে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এদিকে পার্কসার্কাস তিলজলা রোড সংলগ্ন একটি তিনতলা বাড়িতে বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টো ৪০ মিনিট থেকে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে ইডি এবং এনআইএ। জানা গিয়েছে, বাড়িটি শেখ মুক্তার নামক এক ব্যক্তির। এই শেখ মুক্তার পিএফআই সদস্য।
এদিকে এই অভিযান প্রসঙ্গে পিএফআই-এর তরফে বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলা হয়েছে, ‘পিএফআই-এর জাতীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। রাজ্য কমিটির অফিসেও হানা দেওয়া হচ্ছে। ভিন্নমতের কণ্ঠকে নীরব করার জন্যই এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফ্যাসিবাদী শাসকদের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’