নার্কো কো অর্ডিনেশন কমিটির সর্বোচ্চ স্তরের মিটিংয়ে সোমবার যোগ নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত বন্দরে যে সমস্ত কনটেনার আসছে তা স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই এটা করতে হবে। জাতীয় স্তরে Narco Canine pool করার ব্যাপারেও তিনি এজেন্সিগুলিকে নির্দেশ দেন। এনএসজির সঙ্গে সমণ্বয় রেখে ফেডেরাল ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি ও নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোকে কাজ করার ব্যাপারেও তিনি পরামর্শ দেন। মাদক আমদানি রোধে যাতে রাজ্য পুলিশও কাজ করতে পারে সেটা দেখার কথাও বলেন তিনি।
এদিকে গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে মাস তিনেক আগে আফগান হেরোইন ভর্তি একটি কনটেনারকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকার হেরোইন সেবার বাজেয়াপ্ত করা হয়। এনিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসে এক্সক্লিউসিভ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। মাদককাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে সরকার। কীভাবে এই মাদক আমদানি আটকানো যায় সেটা সরকারের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এরপর থেকেই দফায় দফায় শুরু হয় মিটিং। কাস্টমস, এনসিবি, ডিআরআই সহ বিভিন্ন এজেন্সি কার্যত একযোগে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
এদিকে NCORD মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে, অ্যান্টি নার্কোটিক টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে। রাজ্যস্তরেও এটি তৈরি হতে পারে। মাদক পাচার রোধে, ড্রোনের মাধ্যমে, উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে মাদক পাচার ও মাদক উৎপাদনকারী চাষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।