করোনাভাইরাস পরবর্তী অসুস্থতার জেরে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন। সুস্থ হয়ে সোমবার বাড়ি ফেরেন। পরদিন বাড়ি থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মঙ্গলবার দুপুরে একটি টুইটবার্তায় শাহ বলেন, 'ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়জি'র প্রয়াণে গভীরভাবে শোকপ্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির উপস্থিতিতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিয়েছিলাম।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রণববাবুর স্মরণে দু'মিনিট নীরবতা পালন করেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
তার আগে, গত ২ অগস্ট একটি টুইটবার্তায় শাহ জানিয়েছিলেন, ‘করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর আমি করোনা টেস্ট করিয়েছিলাম। রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার শরীর ঠিক আছে। তা সত্ত্বেও চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছি। গত কয়েকদিনে যাঁরা আমার সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁরা দয়া করে নিজেদের আইসোলেশনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।’
মাঝে একদিন শাহরে করোনা মুক্তির খবর দিয়েছিলেন দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। পরে সেই টুইট ডিলিট করে দিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও জানানো হয়েছিল, শাহের আরও করোনা পরীক্ষাই হয়নি। পরে স্বাধীনতা দিবসের আগেরদিন গুরুগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাড়া হয়েছিল। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়িতেই নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
করোনা মুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এক সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ১৭ অগস্ট রাতে শাহকে দিল্লির এইমসে ভরতি করা হয়েছিল। পরদিন সকালে হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, গত তিন-চারদিন ধরে ক্লান্তি বোধ করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গায়ে ব্যথাও হচ্ছে। তবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হননি। করোনা পরবর্তী চিকিৎসার জন্য এইমসে ভরতি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল রয়েছে। শাহ হাসপাতাল থেকেই কাজ করবেন বলেও জানানো হয়েছিল। এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়ার নেতৃত্বাধীন চিকিৎসকদের একটি দল শাহের শারীরিক অবস্থার উপর পর্যবেক্ষণ রেখেছিলেন। অবশেষে সোমবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন।