সম্প্রতি সিবিআই, ইডির জালে জড়িয়েছেন রাজ্যের হেভিওয়েট দুই নেতা। অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে নিজের দলকেই অস্বস্তিতে ফেলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। সিবিআইয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলীপ ঘোষ ‘সেটিং’ তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন। এই আবহে দিলীপে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নড্ডা, বিএল সন্তোষরা। (আরও পড়ুন: অমিত শাহের জুতো হাতে দলের রাজ্য সভাপতি! তেলাঙ্গানায় তুলকালাম)
রবিবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সিবিআইয়ের একটি অংশের সঙ্গে সেটিং হয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। সেটা বুঝতে পেরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটরে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে সেটিং করা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রক বুঝতে পেরে ইডি–কে পাঠিয়েছে।’ উল্লেখ্য, সিবিআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এই আবহে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ সরাসরি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ।
আরও পড়ুন: ডাক্তারকে ঘুষি মেয়ের, ভিডিয়ো ভাইরাল হতে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
এই আবহে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দিলীপের বক্তব্যের ভিডিয়ো এবং এর ইংরেজি ও হিন্দি অনুবাদ চেয়ে পাঠানো হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। জানা গিয়েছে পৃথকভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা রিপোর্ট তলব করেছেন দিলীপের নামের। উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতায় কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছিলেন, ‘সিবিআই গত কয়েক বছর ধরে এখানে সেটিং করছিল। অর্থ মন্ত্রক সবকিছু বুঝেই ইডিকে পাঠিয়েছে। ইডি ভালো কাজ করছে। এরপরে ইডিকে কুকুর বলে সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘এই কুকুরটা পোষ মানবে না বড় কুকুরকে কামড়াবে।’ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছেন বিজেপি। তবে দিলীপের কথায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে বিরোধীদের অভিযোগ সত্যি? বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই কাজ করে সিবিআই, ইডি? এই আভহে দিলীপে অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে দিলীপ নিজের বক্তব্যে অনড়।