আজ থেকে কার্যকর হল তিনটি নয়া ফৌজদারি আইন বিধি। আর এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বললেন, আজ কার্যকর হওয়া তিনটি নতুন ফৌজদারি আইনে শাস্তির পরিবর্তে বিচারকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'ন্যায়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই তিন আইনে, দণ্ডের ওপরে নয়।' কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই তিন আইনে বিধানগুলো এমন যে অনেকেই উপকৃত হবে। বৃটিশ যুগের অনেক ধারা আজকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সেগুলির বদলে আমরা নতুন আইন এনেছি।' (আরও পড়ুন: সাধারণের স্বার্থে দেশে কার্যকর ন্যায় সংহিতা, প্রথম FIR হল এক হকারের বিরুদ্ধে)
আরও পড়ুন: কার্যকর হল নয়া ফৌজদারি আইন, সাধারণ মানুষের যে ১০টি পরিবর্তনের বিষয়ে জানা উচিত
উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে বদলে গিয়েছে ভারতের বিচার ব্যবস্থা। ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ বা ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ বা ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ বা ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের বদলে কার্যকর হচ্ছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য আইন। উল্লেখ্য, এই তিনটি আইন গত বছরের ডিসেম্বরেই লোকসভা, রাজ্যসভায় পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছিল। এর মধ্যে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় মোট ৩৫৮টি ধারা রয়েছে। ভারতীয় দণ্ড বিধির থেকে যা বেশি। ন্যায় সংহিতায় ২০টি নতুন অপরাধ যুক্ত করা হয়েছে এবং নতুন ফৌজদারি আইনে ৩৩টি অপরাধের জন্য কারাদণ্ডের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: সাম-দাম-দণ্ড-ভেদ! আর ১৫ দিন পর DA মামলার শুনানি, তার আগে নয়া চাল সরকারি কর্মীদের)
আরও পড়ুন: সংরক্ষণের সীমা হোক ৫০ শতাংশের বেশি, সংবিধান সংশোধনের দাবি কংগ্রেসের
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিলে সই করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরও কড়া বিধি আছে ন্যায় সংহিতায়। এছাড়াও গণপিটুনি, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির বিধান আছে নয়া আইনে। নয়া আইন কার্যকর হলে কীভাবে বদলাবে বিচার ব্যবস্থা? এবার থেকে অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করার জন্য সাত দিন সময় পাবেন। বিচারককে সেই সাত দিনে শুনানি করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ১২০ দিনের মধ্যে মামলার ট্রায়াল শুরু করতে হবে। এখন যদি কেউ অপরাধের ৩০ দিনের মধ্যে তাদের অপরাধ স্বীকার করে তবে শাস্তি কম হবে। এর আগে বিচারের সময় নথি উপস্থাপনের কোনও বিধান ছিল না। আমরা এটা বাধ্যতামূলক করেছি। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্ত নথি উপস্থাপন করতে। এতে কোনও বিলম্ব করা যাবে না।