বৃহস্পতিবার সমস্ত সীমান্তবর্তী রাজ্যের পুলিশ প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকেই পুলিশ কর্তাদের অমিত শাহ বলেন যাতে কর্তারা নিজ নিজ এলাকায় জনসংখ্যার পরিবর্তনের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখেন। দেশের নিরাপত্তা জন্য বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান অমিত শাহ।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজি (এনএসএস) কনফারেন্সে ভাষণ দেওয়ার সময় অমিত শাহ সতর্কতা দিয়ে বলেন, সীমান্তবর্তী রাজ্যের পুলিশের মহাপরিচালকদের (ডিজিপি) দায়িত্ব তাদের রাজ্যে, বিশেষত সীমান্ত জেলাগুলি থেকে সমস্ত প্রযুক্তিগত এবং কৌশলগত তথ্য সংগ্রহ করা। শাহ বলেন যে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির ডিজিপিদের সীমান্ত অঞ্চলে জনসংখ্যার পরিবর্তনের দিকে নজর রাখা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ওপর জোর দেননি, সীমান্তের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করেছেন।
আরও পড়ুন: বিলকিসের ধর্ষকরা ‘সংস্কারী ব্রাহ্মণ’, বেফাঁস মন্তব্যে বিতর্কে BJP বিধায়ক
‘জাতীয় নিরাপত্তার উপর জোর’
অমিত শাহ আরও বলেন যে রাজ্যগুলির উচিত জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া। শাহ বলেন, সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ এবং উত্তর-পূর্বে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির মোকাবিলা সহ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার এই জাতীয় অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে, যা রাজ্যগুলির সাথে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘যেভাবে বিদেশি মেয়েরা প্রেমিক বদল করেন...’, নীতীশকে তোপ দাগতে গিয়ে বেফাঁস কৈলাস
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৪ সাল থেকে ডিজিপি সম্মেলনের ধরনে পরিবর্তন এনেছেন। আমরা দেখছি এই বৈঠকে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।’ এদিকে এদিন শাহ আরও বলেন, ‘ন্যাশনাল অটোমেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (NAFIS) আকারে একটি সিস্টেম দেশে প্রথমবারের মতো তৈরি করা হয়েছে এবং এটিকে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া দরকার।’