বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Amit shah: 'নতুন করে লেখা হোক দেশের ইতিহাস, বিকৃত নিয়ে শুধু অভিযোগই কেন থাকবে!' আর্জি অমিত শাহের

Amit shah: 'নতুন করে লেখা হোক দেশের ইতিহাস, বিকৃত নিয়ে শুধু অভিযোগই কেন থাকবে!' আর্জি অমিত শাহের

 অমিত শাহ।  (ANI Photo) (Sanjay Sharma) (HT_PRINT)

অমিত শাহ বলেন, ‘ আমি নিজে ইতিহাসের ছাত্র। অনেক সময়ই আমি অভিযোগ শুনি যে ইতিহাস ঠিক করে পরিবেশন করা হচ্ছে না। তথ্য বিকৃত রয়েছে। হয়তো সেটা ঠিক। তবে এবার সময় এসেছে বেঠিককে ঠিক করার। ’ উল্লেখ্য, অসম সরকার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ইতিহাস লেখা প্রসঙ্গে উঠে আসে অহম আর্মি জেনারেল লচিত বারফুকনের প্রসঙ্গও।

লচিত বারফুকানের ৪০০ তম জন্মদিবস পালন অনুষ্ঠানে নয়া দিল্লিতে অমিত শাহ এবার তুলে ধরলেন ইতিহাস পুনররচনা নিয়ে বক্তব্য। এই বিষয়ে তিনি ঐতিহাসিক ও ইতিহাসের ছাত্রদের প্রতি একটি আর্জিও জানান। তিনি বলেন, দেশের এমন ৩০ টি মহান শাসনকালকে বেছে নিয়ে ইতিহাস লেখা হোক যাঁরা ১৫০ বছরেরও বেশি রাজত্ব করেছে, বেছে নেওয়া যাক ৩০০ এমন যোদ্ধাকে যাঁদের সাহস অনুপ্রাণিত করে।

এছাড়াও ইতিহাসের কিছু তথ্যের বিকৃতি বিতর্ক ইস্যুতে মুখ খোলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘ আমি নিজে ইতিহাসের ছাত্র। অনেক সময়ই আমি অভিযোগ শুনি যে ইতিহাস ঠিক করে পরিবেশন করা হচ্ছে না। তথ্য বিকৃত রয়েছে। হয়তো সেটা ঠিক। তবে এবার সময় এসেছে বেঠিককে ঠিক করার। ’ উল্লেখ্য, অসম সরকার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ইতিহাস লেখা প্রসঙ্গে উঠে আসে অহম আর্মি জেনারেল লচিত বারফুকনের প্রসঙ্গও। অমিত শাহ বলেন, ‘লচিত বারফুকন যদি সেই সময়ে অসমে না থাকতেন তাহলে অসম ও উত্তর পূর্ব কখনওই ভারতের অংশ হত না।’ প্রসঙ্গত, অউরাঙ্গজেবের দাপুটে সেনা বাহিনীকে রুখে দিয়েছিলেন জেনারেল লচিত বারফুকন। ১৬৭১ সালের সেই ঘটনাকে স্মরণ করে অমিত শাহ বলেন, এরপর আর কোনও অনুপ্রবেশকারী অসমে ঢোকার সাহস দেখায়নি। অমিত শাহ বলেন, ‘আমি জানতে চাই, নতুন করে সঠিক মহিমান্তিবত ইতিহাস লেখা থেকে কে রুখছে?  ’

এদিকে, ইতিহাসকে নতুন করে লেখার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘ আমি অনুরোধ করছি সমস্ত পড়ুয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের যাঁরা এখানে আছেন, তাঁরা গবেষণা করুন, যাতে ইতিহাস সঠিক নয় এই আখ্যানটি পাল্টানো যায়, গবেষণা করুন ৩০ টি এমন সাম্রাজ্য নিয়ে যাঁরা ১৫০ বছরের বেশি ভারতে রাজত্ব করেছে। ৩০০ জন এমন যোদ্ধাকে নিয়ে যাঁজের সাহস অনুপ্রেরণা যোগায়। ’ অমিত শাহ বলেন, "এটা যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আমরা দেখবে দেশের সঠিক ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত হবে। আর সঙ্গে সঙ্গে উধাও হবে মিথ্যাগুলি। দেশে আমাদের এখন এমন সরকার রয়েছে যাঁরা এগুলি করতে উৎসাহ দিচ্ছে। আমরা ভারতের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী।'

 

 

 

 

 

 

 

 

বন্ধ করুন