পুলওয়ামায় সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেই প্রেক্ষিতে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সত্যপাল মালিকের দাবির প্রেক্ষিতে শাহের পালটা প্রশ্ন, সত্যপাল মালিক যখন প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন, তখন কেন এই নিয়ে মুখ খোলেননি? ইন্ডিয়া টুডে-র একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়ে অমিত শাহ বলেন, সত্যপাল মালিকের দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি সত্যপাল মালিকের মন্তব্যের মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে বলে মত দেন অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আপনি যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কেন আপনার আত্মা জাগ্রত হল না... এই ধরনের মন্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা জনগণ, সাংবাদিকদের দেখা উচিত... যদি এই সব সত্যি হয়, তাহলে তিনি যখন রাজ্যপাল ছিলেন তখন কেন চুপ ছিলেন... এগুলো জনসাধারণের আলোচনার বিষয় নয়। আমি দেশের মানুষকে বলতে চাই যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার এমন কোনও কাজ করেনি যা লুকিয়ে রাখা দরকার। আমাদের ছেড়ে যাওয়ার পর যদি ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক স্বার্থে কেউ কোনও মন্তব্য করেন, তাহলে সেই মন্তব্যগুলির মূল্যায়ন করা উচিত জনগণ ও মিডিয়ার।'
এর আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সত্যপাল মালিক দাবি করেছিলেন, সুরক্ষাজনিত ফাঁক ফোকরের জেরে পুলওয়ামা হামলা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন যে সিআরপিএফ জওয়ানদের জন্য বায়ুযানের আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা সরকার মানতে চায়নি। আর তার জেরেই জওয়ানদের সড়কপথে যেতে হয়েছিল এবং জঙ্গি হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল। সত্যপাল মালিক আরও অভিযোগ করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাকি তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গাফিলতি প্রসঙ্গে মুখ খুলতে বারণ করেছিলেন। এদিকে সত্যপাল মালিক নিজের এই সব দাবির পক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেননি।
এদিকে সত্যপাল মালিককে সম্প্রতি সিবিআই তলব করেছে। আগামী ২৮ এপ্রিল সিবিআই তাঁকে তলব করেছে বিমা দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার প্রেক্ষিতে। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন একটি বিমা স্কিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই স্কিম সংক্রান্ত তথ্য জানতেই এই তলব বলে জানা গিয়েছে। কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মীদের গ্রুপ ইনস্যুরেন্সে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই সংক্রান্ত মামলায় রিলায়েন্স জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং ট্রিনিটি রি-ইনস্যুরেন্সের বিরুদ্ধে দু'টি এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।