প্রতিশ্রুতি ছিল শান্তিপূর্ণ মিছিলের। কিন্তু সকাল থেকে যে হিংসা শুরু হয়েছে, বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যার নামার পরও তাতে লাগাম পড়ল না। বরং বিভিন্ন স্থানে ‘আগ্রাসী’ কৃষকদের দাপটের খবর মিলছে। সেই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে বাড়তি আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
প্রজাতন্ত্র দিবসের সকাল থেকে দিল্লি এবং দিল্লি-লাগোয়া এলাকা কৃষক আন্দোলনকে ঘিরে যে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিয়ে শাহকে অবহিত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। দুপুরের পরে দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের বৈঠক করেন শাহ। সেজন্য প্রথামাফিক রাইসিনা হিলের অনুষ্ঠানে যাননি। শাহের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) অধিকর্তা অরবিন্দ কুমারও।
সূত্রের খবর, দিল্লিতে আরও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোমবার যে ১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হয়েছে, তার থেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। মঙ্গলবার পাঁচ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনীকে স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছে।
এদিকে, ‘প্রকৃত’ চাষিদের দিল্লি ছেড়ে বিক্ষোভস্থলে ফিরে আসার আর্জি জানিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। মঙ্গলবার বিকেলে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘দিল্লিতে ভয়ঙ্কর দৃশ্য। কিছু লোকজন যে হিংসা ছড়াচ্ছে, তা একেবারে বরদাস্ত করা যায় না। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনকারী কৃষকরা যে সুনাম কুড়িয়েছিলেন, তা ধূলিসাৎ করে দেবে এই ঘটনা। কিষান (সংগঠনের) নেতারা (হিংসা ছড়ানো লোকেদের থেকে) নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছেন এবং ট্র্যাক্টর মিছিল স্থগিত করে দিয়েছেন। আমি সব প্রকৃত কৃষকদের দিল্লি ছেড়ে সীমান্ত ফিরে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।’