কেন্দ্রীয় শাসিত জম্মু-কাশ্মীরের ডোমিসাইল আইন নির্ধারণ করল কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যারা ডোমিসাইল তারাই শুধু প্রশাসনে নীচুতলার পদগুলিতে চাকরি পাবে।
কারা এই নয়া কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্যের ভূমিপুত্র? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যারা পনেরো বছর ধরে বসবাস করছেন বা সাত বছর যাবদ এখানে পড়াশুনো করেছেন ও দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছেন, তাদেরকে ডোমিসাইল বলে গণ্য করা হবে। তারা এখানে চাকরি পেতে পারেন। একই সঙ্গে বলা হয়েছে Relief and Rehabilitation Commissioner (migrants) যাদেরকে মাইগ্রেন্ট বা পরিযায়ী তকমা দিয়েছেন, তাদেরও ডোমিসাইল বলে গণ্য করা হবে।
এই আইন বদল হল এই কারণে যে অনেকে মনে করছিলেন ৩৭০ ধারা লুপ্ত হওয়ার পর দেশের অন্যের রাজ্যের মানুষরা এখানে এসে চাকরি করতে শুরু করবেন, বঞ্চিত হবে স্থানীয়রা। একই সঙ্গে জনবিন্যাস বদলে যাবে এই ভয়ও ছিল অনেকের মনে।
এর আগে শুধু স্থায়ী বাসিন্দারাই রাজ্যে চাকরি পেতে পারতেন। অমিত শাহ আগেই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে জম্মু-কাশ্মীরের জনবিন্যাস বদলানোর কোনও অভিপ্রায় নেই তাদের। কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
নয়া ডোমিসাইল আইন সব পোস্টের জন্য লাগু যেখানে বেসিক মাইনে ২৫ হাজার। স্থানীয় মানুষ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, পিএসইউ, পিএসবি, কেন্দ্রীয় সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যুক্ত যারা দশ বছর জম্মু-কাশ্মীরে কাটিয়েছেন, তারাও ডোমিসাইলের স্বীকৃতি পাবেন। যারা ডোমিসাইল তাদের ছেলে-মেয়েরা বাইরে থাকলেও তাদেরকে ডোমিসাইল হিসাবে গণ্য করা হবে। গত বছরের পাঁচ অগস্ট ৩৭০ ধারা অবলুপ্ত করে জম্মু-কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস শেষ করে দেয় কেন্দ্র। একই সঙ্গে রাজ্যকে দ্বিখণ্ডিত করে দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাক সৃষ্টি করে কেন্দ্র।