বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Amit Shah's Phone Call to Nitish Kumar: নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা হল অমিত শাহের, ফের কি পালাবদল হতে চলেছে বিহারে?

Amit Shah's Phone Call to Nitish Kumar: নীতীশ কুমারের সঙ্গে কথা হল অমিত শাহের, ফের কি পালাবদল হতে চলেছে বিহারে?

নীতীশ কুমারের সঙ্গে ফোনে কথা হয় অমিত শাহের

গত বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধেই লড়েছিল বিজেপি এবং জেডিইউ। তবে এই প্রথম বিহারে 'বড় দাদা' জেডিইউ-র থেকে বেশি আসনে জেতে বিজেপি। যদিও এরপরও মুখ্যমন্ত্রী রাখা হয় নীতীশ কুমারকেই। তবে গতবছর দুই দলের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ভেঙে যায় জোট। আরজেডির হাত ধরে সরকার গঠন করেন নীতীশ।

গত বছর নীতীশ কুমার যখন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে জোট ভেঙেছিলেন, তখন বলা হয়েছিল, দুই দলের সম্পর্ক চিরতরে শেষ হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বলেছিলেন, এখন বিজেপির সঙ্গে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। কয়েকদিন আগে একই কথা শোনা গিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গলায়। তবে রাজনীতিতে কোনও কিছুই চিরস্থায়ী নয়। না বন্ধুত্ব না শত্রুতা। আজকাল বিহারের রাজনীতিতে আরজেডি-জেডিইউ'র সম্পর্কে ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বড় মন্তব্য করে বসেছিলেন। এরপরই অস্বস্তিতে পড়েছিল জেডিইউ। এই আবহে অনেক রাজনৈতি বিশ্লেষকেরই মত, আর বেশিদিন ক্ষমতার সুখ পাবেন না তেজস্বী। নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে শীঘ্রই আবারও বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন নীতিশ কুমার। (আরও পড়ুন: 'ডিম-ভাত ছাড়াই জমায়েত', ডিএ আন্দোলনে অভাবনীয় দৃশ্য, হতবাক গোটা বাংলা)

উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ নীতীশ কুমারের ৭২তম জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষে নীতীশের উদ্দেশে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাকে অভিনন্দন জানান। এছাড়াও অনেক বিজেপি নেতা এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও নীতীশকে অভিনন্দন জানান। নীতীশ কুমারও তাঁদেরকে পালটা ধন্যবাদ জানাতে দেরি করেননি। তবে তার ডেপুটি ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব নীতীশকে অভিনন্দন জানাতে 'দেরি' করেন। তবে 'বিলম্বিত অভিনন্দন'-এর জবাবে তেজস্বীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আর এসবের মাঝেই সেদিন আরওকটি বড় রাজনৈতিক ঘটনা ঘটে। লাইভ হিন্দুস্তানের রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অমিত শাহ গত ১ মার্চ নীতীশ কুমারকে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই আবহে এটা স্পষ্ট যে দুই দলের দুই প্রবীণ নেতা নিজেদের তিক্ততা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এদিকে ফোনে দুই নেতার মধ্যে রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সেদিনই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও ফোন করে নীতীশ কুমারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে জোট বেঁধেই লড়েছিল বিজেপি এবং জেডিইউ। তবে এই প্রথম বিহারে 'বড় দাদা' জেডিইউ-র থেকে বেশি আসনে জেতে বিজেপি। যদিও এরপরও মুখ্যমন্ত্রী রাখা হয় নীতীশ কুমারকেই। তবে গতবছর দুই দলের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ভেঙে যায় জোট। আরজেডির হাত ধরে সরকার গঠন করেন নীতীশ। এদিকে এর আগে ও এই একই ভাবে বিজেপির হাত ধরে আরজেডির সঙ্গে সরকার গড়েছিল জেডিইউ। পরে 'দুর্নীতি'র ইস্যুতে আরজেডির হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের হাত ধরেছিলেন নীতীশ। এবারও যাদব পরিবার রেল নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে জেরবার। এই পরিস্থিতিতে ফের বিহারের জোট সমীকরণ বদলাবে কি না, তা নিয়ে জোর জল্পনা পটনায়।

বন্ধ করুন