মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য কেন্দ্র সরকার তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে। সেকথা আগেই দাবি করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। এবার মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্রের তরফে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেবিষয়টি স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, রাজ্যটিতে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র মেইতি এবং কুকি উভয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এছাড়াও, অনুপ্রবেশ রুখতে মায়ানমারের সঙ্গে দেশের সীমান্তে বেড়া দেওয়া শুরু করেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অমিত শাহ দাবি করেছেন, গত সপ্তাহে তিন দিন হিংসার ঘটনা ঘটলেও সামগ্রিকভাবে মণিপুরের পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়েছে। সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছে। এর পাশাপশি খুব শীঘ্রই মণিপুরে আদমশুমারি শুরু হয়ে যাবে বলে জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের তৃতীয় মেয়াদে ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার (আই এন্ড বি) মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এদিন অমিত শাহ দাবি করেন, ‘আমি আশাবাদী যে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হব। আমরা উভয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করছি। এটা ছিল জাতিগত হিংসা। তাই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনা না হলে কোনও সমাধান মিলবে না। আমরা কুকি এবং মেইতি গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলছি। এছাড়া, আমরা মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছি।’
যদিও কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা কেন্দ্র এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন মণিপুর সরকার কেউই স্পষ্ট করেনি। বিষয়টি সম্পর্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা মেইতি এবং কুকি উভয় সম্প্রদায়ের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। গত দু তিন মাসে দিল্লি, কলকাতা এবং গুয়াহাটিতে বৈঠক হয়েছে। আলোচনা এখনও চলছে বলে মণিপুর সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
এদিন অমিত শাহ বলেন, মোদী ৩.০ সরকারের প্রথম ১০০ দিনে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে, যা সমস্যার মূল কারণ। ৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল যে মায়ানমারের সঙ্গে ১৬৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে পুরোটা বেড়া দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। কেন্দ্র ইতিমধ্যে ১৫০০ কিলোমিটার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য বাজেট অনুমোদন করেছে।’ এছাড়াও, সিআরপিএফ কর্মীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে ভারত ও মায়ানমার সীমান্তে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। শুধুমাত্র বৈধ ভিসা থাকা ব্যক্তিদেরই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে বলে অমিত শাহ জানান।