রাজ্যসভায় বিআর আম্বেদকরকে নিয়ে তাঁর মন্তব্যে গোটা দেশে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক পারদ। তারই মাঝে এদিন বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একদিকে, কংগ্রেস দাবি করেছে, মধ্যরাতের মধ্যে অমিত শাহকে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর পক্ষে, অন্যদিকে, আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা সহ বিজেপি বিরোধী বহু নেতা নেত্রীরা। এই গোটা পরিস্থিতির মাঝে বুধবার বিকেলের সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার চেনা মেজাজে কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে দেখা গেল অমিত শাহকে।
কী বললেন শাহ?
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী কে নিয়ে এদিন মন্তব্য করেন অমিত শাহ। অমিত শাহ বলেন,' গতকাল থেকে, কংগ্রেস একটি বিকৃত উপায়ে তথ্য উপস্থাপন করছে, এবং আমি এর নিন্দা করছি... কংগ্রেস বিআর আম্বেদকর বিরোধী, সংরক্ষণ বিরোধী এবং সংবিধানের বিরোধী। কংগ্রেসও বীর সাভারকরকে অপমান করেছে। জরুরি অবস্থা জারি করে তারা সকল সাংবিধানিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন করেছে।' তিনি বলেন,'সংসদে যখন আলোচনা চলছিল, কংগ্রেস কীভাবে বাবা সাহেব আম্বেদকরের বিরোধিতা করেছিল তা প্রমাণিত হয়েছিল। বাবা সাহেবের মৃত্যুর পরেও কংগ্রেস যেভাবে ঠাট্টা করার চেষ্টা করেছিল... ভারতরত্ন দেওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেস নেতারা বহুবার নিজেদেরকে ভারতরত্ন দিয়েছেন।' এরই সঙ্গে সুর চড়িয়ে অমিত শাহ বলেন,' নেহেরু ১৯৫৫ সালে নিজেই নিজেকে ভারতরত্ন দিয়েছিলেন, এবং ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭১ সালে নিজেকে ভারতরত্ন দিয়েছিলেন। বাবা সাহেব ১৯৯০ সালে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন যখন কংগ্রেস পার্টি ক্ষমতায় ছিল না এবং সেখানে ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থিত একটি সরকার ছিল… আম্বেদকরের প্রতি নেহরুর ঘৃণা সর্বজনবিদিত।'
আম্বেদকরকে নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক:-
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় বক্তব্য় রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘এখন একটা ফ্যাশন উঠছে, ম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর, আম্বেদকর…এতবার যদি ভগবানের নাম নিত তাহলে ৭ জন্ম সার্থক হত।’ অমিত শাহের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মোদী মন্ত্রিসভা থেকে অমিত শাহকে সরানোর দাবি করেন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি ওঠে। এই বিতর্কের পারদ তুঙ্গে উঠতেই বুধবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে অবস্থান স্পষ্ট করেন অমিত শাহ।