ঘুড়ির সুতোয় টান দিয়েই 'ও..ওওওওও....' শুরু করে দিলেন। কিছুটা দূরে থাকায় স্পষ্টভাবে সেই শব্দটা কানে আসেনি। কিন্তু মুখের অভিব্যক্তি দেখে স্পষ্ট যে 'ও..ওওওওও....' করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেটা যে কারও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার কারণেই করেছেন, সেটাও বলে দেওয়ার অপেক্ষায় রাখে না। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা বলতে শুরু করেছেন যে মকর সংক্রান্তিতে হাতে ঘুড়ি পেয়ে একেবারে বাচ্চা হয়ে গিয়েছেন শাহ। আর হওয়ারই তো কথা। গুজরাটের মানুষের রক্তে তো আজকের দিনটা মিশে আছে। গুজরাটে ধুমধাম করে মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ পালন করা হয়। ঘুড়ি উড়িয়ে উদযাপন করা হয় সেই বিশেষ দিনটা। আকাশজুড়ে থাকে ঘুড়ি।
‘আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন’, স্মৃতিতে ডুব মোদীর
আর সেই স্মৃতিতে ভেসে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে ভারতীয় মৌসম ভবনের ১৫০ তম বর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে ‘উত্তরায়ণ’-র স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে মকর সংক্রান্তির গুরুত্ব যে কতটা, সেটা সকলে জানেন।'
আরও পড়ুন: Makar Sankranti 2025: মকর সংক্রান্তিতে কেন ঘুড়ি ওড়ানো হয়?
সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আর আমি তো গুজরাটের লোক। তো আমার প্রিয় উৎসব মকর সংক্রান্তি ছিল। কারণ আজ গুজরাটের সব লোক ছাদেই থাকেন। দিনভর ঘুড়ি ওড়ান। আমি যখন ওখানে থাকতাম, তখন আমারও খুব শখ ছিল। কিন্তু আজ আমি আপনাদের মধ্যে আছি। (হাসি)’
ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে গুজরাটে শাহ
দিল্লিতে মোদীর সেই স্মৃতিচারণের মধ্যে একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে গুজরাটে এসেছেন শাহ। সকালে আমদাবাদের মেমনগরে শান্তিনিকেতন অ্যাপার্টমেন্টের ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়ান গান্ধীনগরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, আমদাবাদের মেয়র প্রতিভা জৈন, ডেপুটি মেয়র যতীন প্যাটেল, স্থানীয় বিজেপি নেতারা।
বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শাহ
আজই অম্বোদ গ্রামে সবরমতী নদীর উপরে একটি ব্যারেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শাহ। সেখান থেকেই ভার্চুয়ালি গান্ধীনগরের একটি সার্কিট হাউসের উদ্বোধন করবেন। সেইসঙ্গে সানন্দ এবং কালোলের সংযোগকারী দু'লেনের রাস্তাকে চার লেনে করার প্রকল্পের সূচনা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তারপর বুধবার এবং বৃহস্পতিবার আরও কয়েকটি কর্মসূচি আছে শাহের। যে তালিকায় স্পোর্টস কমপ্লেক্স, মিউজিয়াম, অডিটোরিয়ামের মতো বিভিন্ন প্রকল্প। সেইসঙ্গে আমদাবাদের সর্দার প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফাস্ট-ট্র্যাক ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু করবেন।