অরুণাচলে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এতে মোটেই খুশি নয় পড়শি চিন। এদিন চিনের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে এই যাত্রার ফলে চিনের সার্বভৌমত্ব খর্ব হয়েেছে। ভারত বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, কার্যত এই অভিযোগ করা হয়েছে চিনের পক্ষ থেকে।
কিছুক্ষণ বাদে চিনের আপত্তির বিষয় প্রতিক্রিয়া দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার। রভিশ সাফ করে দেন যে ভারতের স্পষ্ট ও অপরিবর্তিত অবস্থান হল যে অরুণাচল প্রদেশ দেশের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অন্য যে কোনও রাজ্যের মতোই অরুণাচল প্রদেশে যান ভারতীয় নেতারা। সেই নিয়ে আপত্তি জানানোর কোনও কারণ নেই, স্পষ্ট করে দেন রভিশ কুমার।
চিনের দাবি যে অরুণাচল প্রদেশে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ ও কোনও বড়মাপের নেতা রাজ্যে গেলেই নিজেদের প্রতিবাদ জানায় তারা। অরুণাচল রাজ্যের প্রতিষ্ঠাদিবসে আজ সেখানে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেন তিনি।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন যে এই বিষয়ে তাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। অরুণাচল প্রদেশকে তারা স্বীকৃতি দেন না ও কোনও ভারতীয় রাজনীতিবিদের সেখানে যাওয়া চিনের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার সামিল। একই সঙ্গে তাঁর দাবি যে অঞ্চলের স্থিরতা এতে নষ্ট হয়ে যায় ও ভারত-চিনের মধ্যে যে আস্থার সম্পর্ক সেটিতে চিড় ধরে ও বিভন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘিত হয়।
ভারতকে এরকম কাজ থেকে বিরত থাকতে উপদেশে দেন গেং। এক আগে রাজনাথ সিং যখন গিয়েছিলেন তখনও প্রতিবাদ করেছিল চিন। দফায় দফায় সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিন বৈঠক হলেও কোনও সমাধানসূত্র বেরোয়নি। কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ অবধি দীর্ঘ বর্ডার আছে চিন ও ভারতের মধ্য।