গত ২৬ ডিসেম্বর দুবাইতে রাস আলখাইমা উপকূলের কাছে এক বিমান দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আর সেই ঘটনায় যে ২ জনের মত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক সুলেমান আল মাজিদ। তাঁর বাবা মাজিদ মুকার্রাম জানিয়েছেন, বিমান টেক অফের খানিক পরই সেই বিমানটি ভেঙে পড়ে।
জানা যাচ্ছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ওই বিমানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক সুলেমান আল মাজিদ ছাড়াও ছিলেন এক পাকিস্তানি মহিলা। ২৬ বছর বয়সী ওই পাকিস্তানি মহিলারও এই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি মহিলার সঙ্গে সহ পাইলট হিসাবে বিমানটি চালাচ্ছিলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক। জানা যাচ্ছে, বিমানটি কোভ রোটানা হোটেলের আকাশ সীমার কাছে আসতেই দুর্ঘটনা হয়। সেই সময় স্থানীয় সময় ছিল দুপুর ২টো। এদিকে, সেদেশের জেনারেল সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনা নিয়ে তারা তদন্তেও নামছে। জানা যাচ্ছে, এই বিমান জাজিরা অ্যাভিয়েশন ক্লাবের। এই তথ্য দিয়েছে খালিজ টাইমস।
একাধিক রিপোর্ট দাবি করছে, সুলেমান ওই বিমান ভাড়া নিয়েছিল তাঁর পরিবারের সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য। সেখানে তাঁর বাবা, মা, ভাইয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। তাঁরা সকলেই সেদিন ওই অ্যাভিয়েশন ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন যখন সুলেমানরা বিমানটি চালাচ্ছিল। সুলেমান নামলেই, তারপর তাঁর ভাইয়ের বিমানে চড়ার কথা ছিল। তবে করুণ নিয়তি চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে টেনে নিয়ে গেল সুলেমানকে।
সুলেমানের মৃত্যুর সময় স্থানীয় সময়ের নিরিখে ৪.৩০ মিনিট। জানিয়েছেন, তাঁর ভাই। সুলেমানের ভাই বলছেন,' প্রথমে, আমাদের বলা হয়েছিল যে গ্লাইডারটি রেডিও যোগাযোগ হারিয়েছে। পরে, আমাদের জানানো হয়েছিল যে এটি একটি জরুরি অবতরণ করেছে এবং বিমানের ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা যখন হাসপাতালে পৌঁছেছি, তখন আমাদের বলা হয়েছিল যে দুজনেই গুরুতর আহত এবং বাঁচানোর প্রচেষ্টা চলছে।' সুলেমানের ভাই বলছেন,' আমরা তাঁকে দেখতে পাওয়ার আগেই সুলায়মান মারা গিয়েছিলেন, এবং তাঁর মৃত্যুর সময়টি বিকাল ৪.৩০ টার মতো রেকর্ড করা হয়েছিল।'