পঞ্জাবের মোগা জেলার এক গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে খালিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিংকে। আইএসআই-এর মদতপুষ্ট এই বিচ্ছিনতাবাদী নেতাকে গ্রেফতার করার পরই তাকে অসমের দিব্রুগড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এর আগে অমৃতপালের ঘনিষ্ঠ সকল সহযোগীকেই অসমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গ্রেফতারির পর। অসমের দিব্রুগড় সেন্ট্রাল জেলে রাখা হয়েছে অমৃতপালের সকল সহযোগীকে। অমৃতালকেও সেখানেই রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। সুরক্ষাজনিত কারণেই পঞ্জাবে রাখা হচ্ছে না অমৃতপালকে। ভাতিন্ডা এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে তাকে অসমের উদ্দেশে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে অমৃতপালের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অমৃতপালকে গ্রেফতার কররা জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি সাহায্য করেছে পঞ্জাব পুলিশকে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল অমৃতপালের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছিল পঞ্জাব ও দিল্লি পুলিশের যৌথ দল। এরও আগে গত ১৫ এপ্রিল অমৃতপালের আরও এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী জোগা সিংকে ফতেহগড় সাহেব জেলার সিরহিন্দ থেকে গ্রেফতার করেছিল পঞ্জাব পুলিশ। তার আগে পাপালপ্রীত সিংকে গত ১০ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত সকলেই বর্তমানে অসমের দিব্রুগড় জেলে রয়েছেন। দিব্রুগড় জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। অমৃতপালকেও এখানেই আনা হচ্ছে। অমৃতপালের গ্রেফতারির পরই পঞ্জাবে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে পুলিশের তরফে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে। ভুয়ো খবরে কান দিতে বারণ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দে' গোষ্ঠীর নেতা অমৃতপাল সিং একজন 'আইএসআই এজেন্ট'। পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা তাকে ভারতে নিয়ে এসেছে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন গড়ে তুলতে। দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়াই তার মূল উদ্দেশ্য। এর আগে গত মার্চ মাসে অমৃতপালকে ধরার জন্য অভিযান শুরু করে পঞ্জাব পুলিশ। তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হলেও অমৃতপাল নিজে নাটকীয় ভাবে পুলিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল। এই অমৃতপাল সিং নিজের সেনা তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে। নিষিদ্ধ খালিস্তান টাইগার ফোর্সের মতো 'আনন্দপুর খালসা ফোর্স' তৈরি করছিল সে। 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান মানব বোমা স্কোয়াডও তৈরি করছিল বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিজের 'নেশামুক্তি কেন্দ্র' এবং এক গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত করছিল অমৃতপাল। সেখানে যুব সমাজকে খালিস্তানি বিচ্ছিনতাবাদের পাঠ পড়ানো হত। মজুত অস্ত্র সহকারে সেই যুবকদের 'আত্মঘাতী' হামলার জন্য তৈরি করছিল অমৃতপাল সিং। আর এই সবই অমৃতপাল করছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতে।