অগস্টে যখন এক এক করে আফগানিস্তানের শহর, অঞ্চল তালিবান দখলে যাচ্ছিল, তখন সেই সব এলাকা থেকে আফগান জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে তালিবানের সাদা পতাকা ওড়ানো হয়। পরবর্তীতে আফগান পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নেমে প্রাণ হারাতে হয় বহু আফগানকে। তবে সেই আফগান পতাকা উড়িয়েই বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেট খেলতে নামেন নবি-রশিদরা। আর তাই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের কুর্নিশ জানালেন বিগত গণতান্ত্রিক আফগানিস্তান সরকারের উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ।
এদিন এক টুইটে আমরুল্লাহ লেখেন, 'আমি আমাদের ক্রিকেট বীরদের সাহস এবং আমাদের জাতীয় মূল্যবোধের প্রতি তাদের নিবেদনকে অভিনন্দন জানাই। তাঁরা জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন এবং পাক মদদপুষ্ট তালিবান জঙ্গিদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে আমাদের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তালিব শাসনের নিজস্ব কোনও কণ্ঠস্বর নেই। তাদের প্রধানমন্ত্রীরও কোনও সিভি বা কণ্ঠস্বরনেই।'
উল্লেখ্য, ১৯৯০-এর দশকে তালিবান শাসনকালে স্টেডিয়ামগুলি ব্যবহৃত হত গণহত্যার জন্য। তবে সময় বদলেছে। বিনোদোনের সব ক্ষেত্রকে 'হারাম' মনে করা তালিবানের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে ক্রিকেট। তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর গতকাল বিশ্বকাপের মঞ্চে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বড় জয় পান নবি-রশিদরা। আর তাই আফগান জাতীয় দলের জয় উপভোগ করছে তালিবান।
আফগানিস্তানের পুরোনো পতাকা উড়িয়ে শারজার মাঠে অনেক আফগানকেই জাতীয় দলের সমর্থনে গলা ফাটাতে দেখা যায় গতরাতে। তবে তারপরও জাতীয় দলকে কুর্নিশ জানিয়ে টুইট করতে দেখা গিয়েছে তালিবান মুখপত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ, সুহেল শাহিনদের। মুজাহিদ টুইট করে লেখেন, 'দলকে অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতে তাঁদের আরও সাফল্য কামনা করছি।' টুইট করে আফগান দলকে সমর্থন জানান আফগানিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ছোট ভাই আনাস হাক্কানিও।